ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে যে উইকেটে খেলা হয়েছে, সেটি নিঃসন্দেহে রানপ্রসবা ছিল। তবে নাজমুল হাসান শান্ত যে ইনিংসটা খেললেন, সেটার প্রশংসা না করে পারবে না প্রতিপক্ষও। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের ১৫০ রানের হার না মানা ইনিংসেই যে হার মানা হয়ে গেছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ম্যাচটিতে তারা আবাহনী লিমিটেডের কাছে হেরেছে ৫৬ রানে।
Advertisement
টসে হেরে আবাহনীকে ব্যাটিংয়ে পাঠানোই যেন কাল হয়েছে শাইনপুকুরের। ১৮ রান করে অবশ্য মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের শিকার হয়ে এনামুল হক বিজয় ফিরে গিয়েছিলেন। তবে এরপর শাইনপুকুরের বোলারদের নাকের পানি চোখের পানি এক করে ছেড়েছে আবাহনীর দ্বিতীয় উইকেট জুটি। এই জুটিতে সাইফ হাসানকে সঙ্গে নিয়ে ১৮৫ রান যোগ করেন শান্ত।
সেঞ্চুরির খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন সাইফ হাসান। কপাল মন্দ তার। মাত্র ৬ রান দূরে থাকতে নাঈম ইসলামের শিকার হয়েছেন এই ওপেনার। তার ৯৪ রানের ইনিংসটি ছিল ১১৪ বলের, যেটিতে ৭টি চার আর ৪টি ছক্কা হাঁকান সাইফ।
এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ছোটখাটো হলেও দলের প্রয়োজনে দারুণ একটি ইনিংস খেলেছেন অলরাউন্ডার নাসির হোসেন। মাত্র ২৪ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ৪৫ রান করে আউট হন আবাহনী অধিনায়ক। মোহাম্মদ মিঠুন ৯ রানের বেশি এগোতে পারেননি।
Advertisement
তবে শান্ত ঝড় থামানো যায়নি। ১২০ বলে ১৫০ রান করে অপরাজিত ছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। দুর্ধর্ষ এই ইনিংসে ৯টি করে চার-ছক্কা হাঁকান তিনি। সঙ্গে ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন জাতীয় দলের আরেক তারকা মোসাদ্দেক হোসেন।
৩৩৬ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে শুরুটা দারুণ করেছিল শাইনপুকুর। দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম আর ফারদিন হাসান অনি ২৪ ওভারের উদ্বোধনী জুটিতেই তুলেন ১২৫ রান। ৫৬ রান করে নাসির হোসেনের শিকার হন সাদমান। এরপর তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে আরেকটি বড় জুটি অনির। দ্বিতীয় উইকেটে তারা যোগ করেন ১৪৪ রান।
৭২ বলে ৮৩ করা হৃদয়কে মাশরাফি বিন মর্তুজা যখন ফিরিয়েছেন, ততক্ষণে হারটা নিশ্চিত হয়ে গেছে শাইনপুকুরের। তখন ১৫ বলে তাদের দরকার ছিল ৬৭ রান। এরই মধ্যে শেষ ওভারে এসে ২২ বলে ১৫ রান করা আফিফ হোসেনকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে নিজের দ্বিতীয় উইকেটি তুলে নেন মাশরাফি।
এমএমআর/আরআইপি
Advertisement