জাতীয়

আহতদের দেখতে না যেতে সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পরামর্শ

নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় আহত চিকিৎসাধীনদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে না যেতে সাংবাদিকদের পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

Advertisement

রোববার সচিবালয়ে আহতদের চিকিৎসার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এ পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের বার্ন ইউনিটটি অতি ছোট, সেখানে ভিড় হলে স্বজন ও রোগীদের অসুবিধা হয়। চিকিৎসাটাই এখন আমাদের অগ্রাধিকার। যারা আহত হয়েছেন তারা মরণের মুখ থেকে ফিরে এসেছেন। ফিরে আসাদের জন্য সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘কোনো আহতকে আপনাদের (সাংবাদিক) দেখতে যাওয়ার দরকার নেই, তাদের বিরক্ত করার দরকার নেই। কেমন আছে না আছে আমাদের কাছ থেকে জেনে নেবেন।’

Advertisement

ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি সবার কাছে একটা অনুরোধ করি, যেটা মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা আমাদের বারবার বলছেন যে, রোগীকে আপনারা দয়া করে কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবেন না এই মুহূর্তে।’

তিনি বলেন, ‘কারণ রোগীদের যদি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন তবে তারা আরও ইমোশনাল হয়ে যায়। এটা একটি সাংঘাতিক...। এক ট্রমার ওপর আরেকটি ট্রমা হয়ে যায়। এজন্য এই বিশেষ অনুরোধটা আমরা সবাই করছি।’

‘যতটুকু প্রয়োজন হাসপাতালের নিচে আপনারা আসবেন আমরা ব্রিফিং করব’ -বলেন সামন্ত লাল সেন।

গত ১২ মার্চ ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস ২১১ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর দুর্ঘটনায় পড়ে। বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) টাওয়ারের দেয়া ভুল অবতরণ বার্তার জেরে আকাশে অপেক্ষা করতে থাকে বিমানটি। পরে ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। তাদের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে নেপাল থেকে এনে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

আরএমএম/জেডএ/আরআইপি