জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। মধ্যাঞ্চলীয় জেলা ক্যান্ডিতে বৌদ্ধ ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে দাঙ্গার পর ৬ মার্চ থেকে দেশজুড়ে ১০ দিনব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করেন প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা। দাঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই কারফিউ ও জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। খবর বিবিসি।
Advertisement
দাঙ্গার ঘটনায় এখন পর্যন্ত দু’জন নিহত হয়েছে। মুসলিমদের প্রায় সাড়ে চারশ দোকান এবং বাড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্যান্ডিতে সংঘাতের ঘটনায় প্রায় ৬০টি যানবাহন আগুনে পুড়ে গেছে।
উত্তেজনা কমাতে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারফিউয়ের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক, ভাইবার এবং হোয়াটস অ্যাপ বন্ধ রাখা হয়।
২০১২ সাল থেকেই বৌদ্ধ ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। কট্টরপন্থি বৌদ্ধ গোষ্ঠীগুলোর অভিযোগ মুসলিমরা তাদের লোকজনকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করছে এবং বৌদ্ধদের পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো ভাংচুর করছে।
Advertisement
জরুরি অবস্থা জারির পর শ্রীলঙ্কা কর্তৃপক্ষ সন্দেহভাজনদের আটক ও গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। ক্যান্ডি শহরে কয়েকশ পুলিশ মোতায়েন করা হয়। যারা কারফিউ অমান্য করা চেষ্টা করে রাস্তায় নেমেছে পুলিশ তাদের ওপর টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি শান্ত করেছে।
রোববার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা এক টুইট বার্তায় বলেন, জনগণের নিরাপত্তা বিবেচনা করে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছি। এ সপ্তাহের শুরুর দিকেই সামাজিক মাধ্যমের ওপরও নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়।
টিটিএন/পিআর
Advertisement