বিশেষ প্রতিবেদন

পাইলটকে একটা ক্রেডিট দিতে হবে

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে স্মরণকালের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার শিকার হয় বাংলাদেশের বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলার বিএস-২১১ ফ্লাইটটি। গত ১২ মার্চ নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে অবতরণ করতে গিয়ে রানওয়ে থেকে ছিটকে যায় বিমানটি। জীবন প্রদীপ নিভে যায় বাংলাদেশি-নেপালিসহ ৪৯ যাত্রীর।

Advertisement

মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনায় মুষড়ে পড়ে পুরো দেশ। বিভিন্ন গণমাধ্যমে ওই দুর্ঘটনা নিয়ে খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ আসতে শুরু করে। অনেকে ত্রিভুবন বিমানবন্দরের অব্যবস্থাপনাকে ট্র্যাজেডির জন্য দায়ী করেন। প্রশ্ন ওঠে বিমানবন্দরের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা এবং উদ্ধারকর্মীদের দক্ষতা নিয়েও।

সার্বিক বিষয়গুলো নিয়ে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মহাব্যবস্থাপক রাজ কুমার ছেত্রির সঙ্গে কথা হয় জাগো নিউজ’র নিজস্ব প্রতিবেদক আদনান রহমানের। নিচে পাঠকের জন্য তা উপস্থাপিত হলো-

জাগো নিউজ : নেপালের একটি জাতীয় দৈনিক বলছে, ত্রিভুবন একটি দুর্ঘটনাপ্রবণ ও ঝুঁকিপূর্ণ বিমানবন্দর। এ বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) রুম থেকে ইউএস-বাংলাকে বিভ্রান্তিকর নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। আপনাদের তদন্ত কী বলছে?

Advertisement

রাজ কুমার ছেত্রি : ফ্লাইট অবতরণের বিষয়টি বিবেচনায় নিলে কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে কিছুটা রিস্ক আছে, এটা সত্য। কারণ বিমানবন্দরের চারপাশে পাহাড়। কিন্তু সুযোগ-সুবিধার দিক দিয়ে কোনো কমতি নেই এখানে। এখানে প্রতিদিন ৬০টি আন্তর্জাতিক ও ২০০টির বেশি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট অবতরণ করে।

ইউএস-বাংলার দুর্ঘটনার দিন পাইলট ও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের অডিও ক্লিপটি আমিও শুনেছি। এটা পরিষ্কার যে, এটিসির কোনো ভুল ছিল না। পাইলটকে অনেকবার জিজ্ঞাসা করা হয়েছে যে, তিনি কোন রানওয়ে ব্যবহার করতে চান। পাইলট যখন বললো তিনি টু-জিরো (২০) নম্বর রানওয়ে চান, তখন এটিসি সম্পূর্ণ রানওয়ে খালি করে দেয়। ওই সংবাদপত্রের তথ্য ভুল।

জাগো নিউজ : কয়েকজন পাইলটের বরাত দিয়ে দ্য হিমালয় টাইমস লিখেছে, প্রায়ই এটিসি ভুল নির্দেশনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?

রাজ কুমার ছেত্রি : পাইলটরা টাওয়ারের বিরুদ্ধে ভুল ও বিভ্রান্তিকর নির্দেশনা দেয়ার যেসব অভিযোগ করেছেন বলে আপনি বললেন, সে বিষয়ে আমার জানা নেই। এ ধরনের কোনো অভিযোগ আমি পাইনি। যদি পাইলটরা এ বিষয়ে সিভিল এভিয়েশনকে জানায় তাহলে আমরা দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলব।

Advertisement

জাগো নিউজ : তদন্ত কোন পর্যায়ে আছে। প্রাথমিক তদন্তে ক্র্যাশের কারণ জানা গেছে কিনা?

রাজ কুমার ছেত্রি : প্লেনটি ক্র্যাশের পর আগুন লাগলে আমি চার মিনিটের মাথায় সেখানে যাই। আমি দেখি ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন। উদ্ধার শেষ হওয়ার পর থেকে সরকার কর্তৃক তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটিতে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার আছেন, পাইলট আছেন, ডাক্তার আছেন। তারাই সব তথ্য বের করে নিয়ে আসবেন। আমি এখনই কোনো কারণ বললে, এটা ঠিক হবে না। তবে আমি দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে বিমানবন্দরের পার্কিংয়ের প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলি। তারা জানিয়েছে, প্লেনটা ল্যান্ড করার সময় কাত অবস্থায় ছিল। ওটা সঠিক অবস্থায় ছিল না। আমাদের ভাষায় এটাকে বলে অ্যালাইনমেন্ট। অ্যালাইনমেন্ট ঠিক হওয়ার পরই ভালো অবতরণ করা সম্ভব।

উড়োজাহাজে আমার একজন ভাই ছিল। সে বর্তমানে মেডিসিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সে আমাকে জানিয়েছে, অবতরণের সময় প্লেন কাত হয়ে যায়, এটা দেখে সবাই চিৎকার করতে থাকে। সবাই কাঁদছিল। আশা করছি তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে।

জাগো নিউজ : ইউএস-বাংলার প্লেনটিতে কোনো ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল কিনা?

রাজ কুমার ছেত্রি : প্লেনে কোনো ত্রুটি ছিল কিনা- পাইলট সেটা কাউকে (ইউএস-বাংলা ও এটিসি) জানায়নি। পাইলটকে এটিসি দুবার জিজ্ঞাসা করেছে, ‘আর ইউ ওকে (তুমি কি ঠিক আছ?)’, ‘আর ইউ ওকে (তুমি কি ঠিক আছ?)’। পাইলট দুবারই ‘ওকে’, ‘ওকে’ বলেছেন। বাইরে থেকে প্লেনের ত্রুটি সম্পর্কে আমি বলতে পারব না।

জাগো নিউজ : যে অডিও ক্লিপটি উদ্ধার করা হয়েছে সেটি যদি সত্যি হয়ে তাহলে এটা পরিষ্কার যে, পাইলট ও এটিসির কথোপকথনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছিল। এ ধরনের বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে পাইলট প্লেনটিকে পুনরায় অবতরণ শুরুর স্থানে নিয়ে অর্থাৎ ‘গো অ্যারাউন্ড’-এ যেতে পারতেন। এটি ছাড়াও ‘রাডার ভেক্টর’ বলে একটি ম্যানুয়াল রয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়া অথবা কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে পাইলটের যে ভ্রান্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল- সেক্ষেত্রে পাইলট ওই ম্যানুয়াল অনুসরণ করতে পারতেন। নেপালের ফ্লাইটের ক্ষেত্রে পাইলট কন্ট্রোল টাওয়ারের কাছে ‘রাডার ভেক্টর’ চাইতে পারতেন। এটি দেয়া হলে স্ক্রিনের মাধ্যমে পাইলটকে তার উড়োজাহাজের উচ্চতা, অবস্থান, রানওয়ের অবস্থাসহ নানা ধরনের তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করে নিরাপদে অবতরণে সহায়তা করতে পারত। কেন এগুলো ফলো করা হলো না?

রাজ কুমার ছেত্রি : যখন এটিসি রাডারে প্লেনকে দেখে ফেলে তখন আর ‘ভেক্টর’ চাওয়ার কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। রাডার প্লেন কাছে আসা এবং এরিয়া কন্ট্রোলকে গাইড করে। কিন্তু টাওয়ারে যখন প্লেন দৃশ্যমান হয় তখন এটিসি প্লেনকে শুধু অবতরণের অনুমতি দেয়। সোমবার (১২ মার্চ) ইউএস-বাংলার বিমানটি অবতরণের সময় আবহাওয়া খুবই ভালো ছিল। বাতাস কম ছিল। এটিসি বার বার পাইলটকে জিজ্ঞাসা করেছে, দক্ষিণে অবতরণের জন্য আপনাকে ‘০২’ (জিরো-টু) রানওয়ে দিলাম, আপনি কেন উত্তরের দিকে অগ্রসর হচ্ছেন? পরে পাইলট জানালো, তিনি উত্তরে অবতরণ করতে চান। এটিসি তখন বলেছিল, উত্তরের রানওয়ে খালি আছে। তবে এর পরপরই উত্তর-পূর্ব দিকে যাওয়ার পর পাইলট এক্স সারকেল দিয়ে রানওয়ে’র ওপর দিয়ে পশ্চিমে যান। পাইলটকে ‘০২’ রানওয়ে দেয়া হলেও তিনি সেটি ব্যবহার না করে উত্তরের দিকে যান। তখন এটিসি তাকে জিজ্ঞাসা করে, ‘আপনাকে দক্ষিণে (০২) যেতে বলেছি, আপনি কেন উত্তরে (২০) যাচ্ছেন।’ পাইলট তখন জানান, তিনি রানওয়ে ‘২০’ ব্যবহার করবেন। তার সিদ্ধান্তে কোনো কনফিউশন ছিল না। তাই এ দুটির কোনটিই ব্যবহারের প্রয়োজন পড়েনি।

জাগো নিউজ : বিমানটির ব্ল্যাকবক্স থেকে কী ধরনের আলামত পেয়েছে তদন্তকারী কর্মকর্তারা?

রাজ কুমার ছেত্রি : তদন্ত কমিটির তদন্ত করতে কমপক্ষে তিন মাস সময় লাগবে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ব্ল্যাকবক্স খোলা হয়নি। এটাকে নিরাপদে রাখা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তারা চাইলে প্রয়োজনে ব্ল্যাকবক্সটি কানাডায় পাঠানো হবে। প্লেন থেকে উদ্ধারকৃত ব্ল্যাকবক্স এবং ফ্লাইট ডাটা রিডার এখনো দেখা হয়নি।

জাগো নিউজ : প্লেনের বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা জানিয়েছেন, বিমানবন্দরের উদ্ধারকারী দল বিলম্বে কাজ শুরু করেন। এছাড়া উদ্ধারকারীরা অভিজ্ঞ ছিলেন না, অপ্রস্তুত ছিলেন। কয়েকজন দমকলকর্মী প্লেনের সামনে না গিয়ে অনেকখানি দূর থেকে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছিলেন। কী কারণে এমন হলো?

রাজ কুমার ছেত্রি : উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের স্পট থেকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ২০০ মিটারের দূরত্বে ছিল। টাওয়ারে প্লেন ক্র্যাশের সংবাদ শোনার দুই মিনিটের মাথায় পাঁচটি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে। প্লেনের আগুন তীব্র ছিল। পাঁচ মিনিটের মধ্যে ৪০ শতাংশ প্লেন পুড়ে গিয়েছিল। ফায়ার ফাইটার, সেনাবাহিনী, পুলিশ- সবাই ভালোভাবে কাজ করেছেন। পত্রিকায় পড়লাম, একজন বাংলাদেশি যাত্রীও উদ্ধারকর্মীদের প্রশংসা করেছেন।

জাগো নিউজ : প্লেন ক্র্যাশের সময় দায়িত্বরত এটিসি টাওয়ারের ছয় কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। গুঞ্জন আছে বদলির কারণ ‘দায়িত্বে অবহেলা’। এ তথ্য কি সত্য?

রাজ কুমার ছেত্রি : ‘দায়িত্ব অবহেলার’ কারণে তাদের বদলির তথ্য সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা। আমি ত্রিভুবনের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম)। তাদের বদলি করার অথরিটি আমার। আমিই বদলি করেছি। নেপাল হোক আর বাংলাদেশ হোক, এটিসি টাওয়ারে প্রচণ্ড চাপের মধ্যে কাজ করতে হয়। তারা (এটিসি টাওয়ার কর্মকর্তারা) একটা প্লেন ক্র্যাশ নিজের চোখে দেখেছেন। সেটা দেখার পর তাদের নিজেদের ভেতরেই এক ধরনের ট্রমা কাজ করছে। আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশনের নিয়ম অনুযায়ী তাদের ২-৩ দিনের জন্য টাওয়ার থেকে ব্রিফিংরুমসহ অন্যান্য দফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে। তারা ২-৩ দিন পর আবারও টাওয়ারে ফিরে আসবেন।

জাগো নিউজ : ইউটিউবে পাইলট ও টাওয়ারের মধ্যে কথোপকথনের অডিও ক্লিপটিতে এটিসি টাওয়ার থেকে একাধিক জনের কণ্ঠ শোনা গেছে। বিভিন্ন জন বিভিন্নভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন। একই প্রশ্ন বার বার জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। ২-১ বার ‘জিরো-টু’কে ভুলে ‘টু-জিরো’ বলা হয়েছে। পরে আবার কারেকশন দেয়া হয়েছে। এক প্লেনের সঙ্গে তিনজনের যোগাযোগে সমন্বয়হীনতা হয়েছে বলে আপনি মনে করেন? তিনজনের সঙ্গে একই বিষয়ে বার বার কথা বলায় পাইলট ও কো-পাইলট কনফিউশনে (বিভ্রান্তি) পড়েছে বলে মনে করেন কি?

রাজ কুমার ছেত্রি : টাওয়ারের সঙ্গে প্রথমে কো-পাইলট (পৃথুলা) কথা বলেছেন। এরপর সিনিয়র পাইলট ও পাইলট-ইন-কমান্ড (আবিদ সুলতান) কথা বলেছেন। এটিসি টাওয়ারে আমাদের তিন ধরনের পদধারী কর্মকর্তা থাকেন। গ্রাউন্ড, কো-অর্ডিনেটর এবং অ্যাক্টিভ কন্ট্রোলার। যখন রাডার বিমানটিকে অস্বাভাবিক এবং সিরিয়াস কন্ডিশনে দেখেছে তখন তারা (রাডারের কর্মকর্তারা) কথা বলতে পারেন, পরামর্শ দিতে পারেন। এতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ার কিছু নেই।

জাগো নিউজ : অবতরণের সময় বিমানটি কি তাহলে পাইলট আবিদ সুলতানের নিয়ন্ত্রণে ছিল না?

রাজ কুমার ছেত্রি : আমি প্রত্যক্ষদর্শী, টাওয়ারের কর্মকর্তা ও বিমানবন্দরের সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ দেখেছি। বিমানের এক যাত্রী বলেছেন, বিমানটি ঠিকভাবে কোনো রানওয়ে দিয়ে অবতরণ না করে কাত হয়ে মাঝামাঝি অবস্থায় অবতরণ করে। এমনকি রাডার টাওয়ার থেকে ৫০ ফিট দূরত্বে এটি ছিল। টাওয়ারে হিট করার আশঙ্কাও ছিল। টার্নের সময় আরেক যাত্রী রাডার টাওয়ার দেখেছে বলে আমাকে জানিয়েছেন। এ অবস্থা দেখে টাওয়ার তাকে টার্ন করার নির্দেশনা দেয়। এরপরই এটি ক্র্যাশ করে।

আমি ভিডিও ফুটেজ দেখেছি। পাইলটকে একটা ক্রেডিট দিতে হবে। কাত হয়ে রাডারের কাছাকাছি এসে প্লেন ঘুরিয়ে ফেলেন। রানওয়ের পাশে বিমানবন্দরের কিউতে অনেক প্লেন দাঁড়ানো ছিল। পাইলট দক্ষতার সঙ্গে ইউএস-বাংলার প্লেনকে সেসব প্লেন থেকে সরিয়ে নিয়ে গেছেন।

জাগো নিউজ : পৃথিবীর অনেক দেশের বিমানবন্দরে টাওয়ার থেকে নির্দিষ্ট করে রানওয়ে ব্যবহারের নির্দেশনা দেয়া হয়। তবে ইউএস-বাংলার ফ্লাইটটিতে এটিসি টাওয়ার থেকে পাইলটকে কমপক্ষে পাঁচবার ‘জিরো-টু’ অর ‘টু-জিরো’ রানওয়ে ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইছিল। টাওয়ার কর্মকর্তারা চাইলে বাছাইয়ের সুযোগ না দিয়ে নিজ থেকে যেকোনো একটি রানওয়েতে নামার নির্দেশ দিতে পারত কিনা?

রাজ কুমার ছেত্রি : অনেক সময় পাইলটরা এটিসি টাওয়ারের দেয়া রানওয়েতে নামতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ নাও করতে পারেন। রানওয়ে যদি ব্যস্ত থাকত তাহলে চয়েজ (বাছাইয়ের সুযোগ) দেয়া হয় না। কিন্তু ইউএস-বাংলার ফ্লাইটটি যখন নামে তখন দুটা রানওয়ে ফ্রি ছিল, তাই চয়েজ দেয়া হয়েছে। এছাড়া অবতরণের আগ পর্যন্ত পাইলট নির্ধারিত রানওয়ে নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন বলে অডিওতে শোনা গেছে। টাওয়ার কর্মকর্তার প্রশ্নের উত্তরে তিনি ‘ওকে আছেন’ বলে জানিয়েছেন।

এআর/এমবিআর/এমএআর/আরআইপি