নেপালের কাঠমান্ডুতে বিমান বিধ্বস্তে আহতদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে ১৩ সদস্যের মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ঢামেক বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেনের নেতৃত্বে এ মেডিকেল টিম গঠিত হয়েছে।
Advertisement
মেডিকেল টিমের সদস্যরা আহতদের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ।
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ‘বঙ্গবন্ধুর জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস’ উপলক্ষে শিশু ও মাতৃপুষ্টি বিষয়ক এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে মহাপরিচালক এ কথা বলেন।
মেডিকেল টিমের সদস্যরা হলেন- সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন, বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী বিভাগের ডা. মো. আবুল কালাম, অধ্যাপক ডা. সাজ্জাদ হোসেন খন্দকার, অধ্যাপক এ জেড এম মুস্তাক হোসেন তুহিন, অধ্যাপক ডা. মো. শামসুজ্জামান, অধ্যাপক ডা. মোজাফ্ফর হোসেন (অ্যানেসথেসিয়া), অধ্যাপক ডা. রায়হানা আউয়াল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথের পরিচালক ও অধ্যাপক ডা. মো. ফারুক আলম, ডা. মহিউদ্দিন আহমেদ (মেডিসিন), অধ্যাপক ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন (মেন্টাল অ্যান্ড হেলথ), ডা. মো. জাহাঙ্গীর কবির, ক্লিনিক্যাল সাইকোলোজি জহির উদ্দিন ও সাইক্রিয়াটিস্ট জামাল হোসেন।
Advertisement
এ বিষয়ে ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, নেপালে চিকিৎসাধীন আহত বাংলাদেশিদের ৪ জনকে ইতোমধ্যে দেশে ফিরিয়ে এনে ঢামেকের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বাকি ৫ জনের মধ্য দুইজনের অবস্থা ‘ক্রিটিক্যাল।’ তাদের একজন ইমরানা কবিরকে আজ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে নয়া দিল্লিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেয়া হবে। অপরজন ইয়াকুবকে স্বজনদের অনুরোধে নেপালেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, রুবাইত বশিরকে আজ বাংলাদেশে আনা হচ্ছে। অপর দুইজন কবির হোসেন ও শাহিন হাওলাদারকে আগামীকাল দেশে আনা হবে। ইমরানা কবিরের শ্বাসনালী পুড়েছে বলে জানিয়েছেন নেপালের চিকিৎসকরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ঢামেকের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নানির উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এ এইচ এম হেদায়েত হুসাইন, বার্ন ইউনিটের সমন্বয় ডা. সামন্ত লাল সেনসহ অন্য কর্মকর্তারা।
আহতদের চিকিৎসা কক্ষে কাউকে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ না করতে বিনীত অনুরোধ করেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
Advertisement
সাদ্দাম হোসাইন/এনএফ/জেআইএম