সিলেটের পর্যটনকেন্দ্র জাফলংয়ে বেড়াতে এসে পিয়াইন নদীতে সাঁতার কাটতে গিয়ে নিখোঁজ কলেজছাত্র সোহাগ ঘোষের মরদেহও ভেসে উঠেছে। শনিবার দুপুর ১টায় পিয়াইন নদীর পার্শ্ববর্তী একটি খালে সোহাগের মরদেহ ভেসে উঠতে দেখেন স্থানীয় জনতা। দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার দূর থেকে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। তীব্র স্রোত মরদেহটি ভাটিতে নিয়ে যায় বলে পুলিশের ধারণা।এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় পিয়াইন নদীতে ভাসমান অবস্থায় আবদুলাহ অন্তরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।বুধবার বিকেলে জাফলংয়ে বেড়াতে এসে পিয়ান নদীর বলাঘাটের জিরো পয়েন্টে সাঁতার কাটার সময় নিখোঁজ হন তারা। সোহাগ ও অন্তর ঢাকার কবি কাজী নজরুল সরকারি কলেজের একাদ্বশ শ্রেণির ছাত্র।স্থানীয়রা জানান, নিখোঁজের তিন দিন পর পিয়াইন নদীর দক্ষিণ পশ্চিমে পার্শ্ববর্তী একটি খালে সোহাগের মরদেহ ভেসে উঠে। দুপুর ১টায় স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। এর আগে তিনদিন ধরে দমকলবাহিনী, পুলিশ চেষ্টা চালালেও তাদের কোনো খোঁজ পায়নি।গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালাউদ্দিন আহমদ সোহাগের মরদেহ ভেসে উঠার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করেছে।নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে অন্তরের বন্ধু তানভীর আহমেদ জানান, ঈদের ছুটিতে বেড়ানোর জন্য ছয় বন্ধু মিলে ঢাকা থেকে জাফলংয়ে আসেন তারা। বুধবার বিকেল ৪টার দিকে মলাঘাটের জিরো পয়েন্ট এলাকায় সাঁতার কাটতে নামেন সোহাগ ও অন্তর। এসময় স্রোতের টানে উভয়েই তলিয়ে যান। সোহাগ ও অন্তর সাঁতার জানতেন না বলেও জানান তানভীর।ছামির মাহমুদ/এমজেড/এমআরআই
Advertisement