খেলাধুলা

শেষ ওভারে উত্তেজনা

দুর্দান্ত এক ম্যাচ। উত্তেজনার সব রসদই যেন জমিয়ে রেখেছিল। শেষ ওভার পর্যন্তও বলা যাচ্ছিল না কোন দল জিতবে। বরং বাংলাদেশ হারতে পারে, এমন সম্ভাবনা ছিল। ৬ বলে দরকার ১২ রান। স্বীকৃত ব্যাটসম্যান বলতে কেবল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এরই মধ্যে অদ্ভূত এক কারণ নিয়ে ম্যাচে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লো মোস্তাফিজ রানআউট হবার পর।

Advertisement

শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলও বাউন্স দিলেন উদানা। আম্পায়ার প্রথমে ‘নো’ বলের সংকেত দেন। এবার প্রতিবাদ লঙ্কানদের। তারা আম্পায়ারকে ঘিরে ধরেন। লেগ আম্পায়ার গিয়ে মূল আম্পায়ারের সঙ্গে আলোচনা করে ‘নো’ তুলে নেন। এবার প্রতিবাদ করেন মাহমুদউল্লাহ। মাঠের বাইরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাকিব। চতুর্থ আম্পায়ার তাকে বারবার আটকাতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছিলেন।

পরিস্থিতি এতটাই ঘোলাটে হয়ে গিয়েছিল যে, অধিনায়ক সাকিব আল হাসান মাঠ ছেড়ে চলে আসতে বলেছিলেন মাহমুদউল্লাহ আর নতুন ব্যাটসম্যান রুবেল হোসেনকে। তারা বের হবারও প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। এমন অবিচার কি করে মানা সম্ভব!

তবে সেই সময়টায় বেরিয়ে গেলে বাংলাদেশ 'ডিসকোয়ালিফাইড' হতো, ওয়াকওভার নিয়ে ফাইনালে চলে যেতো শ্রীলঙ্কা। শেষ ৪ বলে বাংলাদেশ ১২ রান নিতে পারবে না বলেই যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ন করেছে টাইগাররা, এমন সমালোচনাও হয়তো হতো।

Advertisement

এমন পরিস্থিতিতে মাঠের কিনারে চলে আসেন দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন। সঙ্গে বাংলাদেশ ড্রেসিংরুমের সবাই। সুজন বুঝিয়ে শুনিয়ে মাহমুদউল্লাহদের ম্যাচটা শেষ করে আসতে বলেন। শেষ গল্পটা তো সবারই জানা। এমন এক ম্যাচ মাহমুদউল্লাহর অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে জিতেই ফাইনালে উঠে গেছে টাইগাররা।

এমএমআর/জেএইচ