বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি এবং টেস্ট দলের নিয়মিত অধিনায়ক তিনি। তবুও, তার ইনজুরির কারণে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক করা হয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। ঘরের মাঠে যে পারফরম্যান্সই থাকুক, শ্রীলঙ্কার মাটিতে রিয়াদের নেতৃত্বে ২১৫ রান তাড়া করে ইতিহাস রচনা করেছে বাংলাদেশ। নিদাহাস ট্রফিতে তার নেতৃত্বেই দল পাঠানো হয় শ্রীলঙ্কায়। হঠাৎ, সাকিব আল হাসানের দলের সঙ্গে যোগ দেয়া এবং তিনি যদি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আজ একাদশে থাকেন, তাহলে বাংলাদেশ দলকে কে নেতৃত্ব দেবেন- সেটাই এখন অনেক বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে।
Advertisement
সাকিব আল হাসান টেস্ট নেতৃত্ব পেয়েছিলেন গত বছরের শেষ দিকে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ভরাডুবির পর। যদিও, দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পাওয়ার পর এখনও তার নেতৃত্বে সাদা পোশাকে মাঠে নামতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব পেয়েছেন আরও এক বছর আগে। শ্রীলঙ্কা সফরে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে মাশরাফি বিন মর্তুজা অবসর নেয়ার পর।
টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকায় দুটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এরপর ছিল ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। তার আগেই তিনজাতি সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাইনালে হাতের ইনজুরিতে পড়েন সাকিব। সেই ইনজুরির পর টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ হলো- ফিরতে পারলেন না বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। নিদাহাস ট্রফিতে প্রথমে তাকে রেখেই দল ঘোষণা করা হয়। পরে, তাকে বাদ দিয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে অধিনায়ক বানিয়ে পূনরায় দল ঘোষণা করা হয়।
কিন্তু নিয়মিত অধিনায়ক দলে ফেরার পর এবং তিনি যদি খেলেন তাহলে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেবেন নাকি নিয়মিত অধিনায়ক নেতৃত্ব দেবেন- সেই প্রশ্ন ইতিমধ্যে উঠেই গেছে। এমন প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রীলঙ্কা থেকে টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রে জানা গেছে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ডু-অর-ডাই ম্যাচে যদি সাকিব খেলেনই, তাহলে তিনিই নেতৃত্ব দেবেন দলকে। মূলতঃ নিয়মিত অধিনায়ক দলে ফেরা মানেই ভারপ্রাপ্তকে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হবে।
Advertisement
সাকিব দলে ফিরলে দলের কম্বিনেশন কী দাঁড়াবে, তা ইতিমধ্যেই জানা হয়ে গেছে। সাকিবের দলে ফেরা মানেই একজন বোলারকে জায়গা ছেড়ে দেয়া। তিনি হতে পারেন মেহেদী হাসান মিরাজ কিংবা আবু হায়দার রনি অথবা নাজমুল ইসলাম অপুদের যে কোনো একজন। গুঞ্জন রয়েছে, এই ম্যাচে বিশ্রাম দেয়া হতে পারে সাব্বির রহমানকেও। তার পরিবর্তে একাদশে নেয়া হতে পারে আরিফুল হককে।
আইএইচএস/পিআর