ম্যাচটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের জন্য। এই ম্যাচটি জিতলেই অনেক বড় অর্জনে নাম লেখানো হবে। নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শুক্রবারের ম্যাচটি যে পরিণত হয়েছে অঘোষিত সেমিফাইনালে। এমন ম্যাচে সাকিব আল হাসান থাকবেন না, তা কি করে হয়?
Advertisement
সাকিবের খেলার কথা ছিল না। চোটের কারণে পুরো নিদাহাস ট্রফি থেকেই ছিটকে পড়েছিলেন দেশসেরা এই অলরাউন্ডার। চিকিৎসার পর এখন বেশ সুস্থ। দেশে অনুশীলনও করেছেন। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। সাকিব খেলতে পারলে তো দারুণ হতো, টাইগার ভক্তদের মনে এই আক্ষেপ। হঠাৎ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে জানানো হলো, সাকিব শ্রীলঙ্কায় যাচ্ছেন। তিনি নাকি পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠেছেন।
খবরটা শুধু খবরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। শুক্রবারের ম্যাচটিতে খেলতে সাকিব বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার মাটিতে পা-ও রেখেছেন। যোগ দিয়েছেন দলের সঙ্গে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে অঘোষিত সেমিফাইনালে একাদশে থাকবে তার নাম। তার নামটিই যে দলে বড় এক শক্তি!
সাকিব একাদশে এলে টিম কম্বিনেশন স্বভাবতই বদলে যাবে। তবে সেই বদলটা অবশ্যই ইতিবাচক। সাকিব যে দলের 'টু ইন ওয়ান'। তিনি থাকা মানেই বাড়তি একজন ব্যাটসম্যান আর বাড়তি একজন বোলারের কাজ হয়ে যাওয়া।
Advertisement
সাকিব দলে না থাকায় নিদাহাস ট্রফির প্রথম তিন ম্যাচেই বাংলাদেশকে খেলতে হয়েছে ছয় ব্যাটসম্যান নিয়ে। তিনি ফিরলে ব্যাটসম্যানের কোটা বেড়ে দাঁড়াবে সাতে। বোলিংয়েও একজন বিশেষজ্ঞ স্পিনারের জায়গা পূরণ হয়ে যাবে।
সাকিব না থাকাতেই নিচের দিকে মিরাজ, মোস্তাফিজ, রুবেল, তাসকিন, রনির মতো বিশেষজ্ঞ বোলারদের কাছে দুই একটি চার-ছক্কার জন্য তাকিয়ে থাকতে হয়েছে। অথচ তারা কেউ হার্ডহিটার তো দূরের কথা, অলরাউন্ডারও নন। সে কারণেই মূলত বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের জোরটা গেছে কমে।
টি-টোয়েন্টিকে বলা হয় ব্যাটসম্যানদের খেলা। অথচ এই ব্যাটসম্যানবান্ধব ফরমেটেও বাংলাদেশ দল ছয় ব্যাটসম্যানের সঙ্গে পাঁচজন বোলার খেলাচ্ছে দেখে অবাক হয়েছেন অনেকেই। আসল ব্যাপারটা যে সাকিবের না থাকা, সেটা মুখে না বললেও বোঝা যাচ্ছিল।
অঘোষিত সেমিফাইনালে সাকিব মাঠে নামতে পারলে তাই মনস্তাত্ত্বিকভাবে অনেকটা এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। আর ক্রিকেট তো যতটা না মাঠের খেলা, তার চেয়ে বেশি মনের। মনে শক্ত জোর থাকলেই তো লঙ্কা বধ করে ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে আরেক অর্জনের স্বপ্ন দেখতে পারবে টাইগাররা!
Advertisement
এআরবি/এমএমআর/এমএস