দেশে বিনিয়োগ আকর্ষণে ‘বিনিয়োগ মন্ত্রণালয়’ ও ‘এসএমই মন্ত্রণালয়’ গঠন অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা।
Advertisement
বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের আয়োজনে ‘বাংলাদেশ : স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের অভিযাত্রা’ শীর্ষক অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এ দাবি জানানো হয়।
ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের অভিযাত্রায় বাংলাদেশের সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ হাজির হয়েছে তা মোকাবেলায় সম্মিলিত উদ্যোগ দরকার। এক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানো, রফতানি পণ্য বহুমুখীকরণ, যুগোপযোগী শিল্পনীতি প্রণয়ন এবং কর্পোরেট কর কমানোসহ আরও বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া জরুরি বলে জানায় এফবিসিসিআই। একই সঙ্গে সরকারের নীতি নির্ধারণে বেসরকারি খাতের সম্পৃক্ততা থাকা দরকার বলেও জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বাণিজ্য সচিব সুভাশিষ বোস এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এফবিসিসিআই সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন), সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম ও পরিচালকরাসহ সংগঠনের সদস্য সংস্থাগুলোর প্রধানরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
আবুল কালাম আজাদ বলেন, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ক্ষেত্রে এদেশের বেসরকারি খাতের বিশেষ অবদান রয়েছে। এবছর ‘উন্নয়নশীল দেশে’ উত্তরণের ঘোষণা এলেও বাংলাদেশকে আরও ৩ বছর মনিটরিং-এর মধ্যে থাকতে হবে। সৃষ্ট চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি দেশের বেসরকারি খাতকেও একযোগে কাজ করতে হবে বলে জানান তিনি।
একক পণ্য হিসেবে তৈরি পোশাক শিল্পের ওপর নির্ভর না করে ওষুধ, চামড়া এবং কৃষিভিত্তিক পণ্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময় রফতানি পণ্য হতে পারে বলে জানান তিনি।
এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম বলেন, প্রয়োজনীয় ৩টি নির্ণায়ক সফলভাবে পূর্ণ করায় প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য ‘উন্নয়নশীল দেশ’-এ উত্তরণ অনেক সহজ হয়েছে।
তবে দেশের উন্নয়নের এ পর্যায়ে মেধাস্বত্ব, ট্রিপস, জিএসপি প্লাস এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিসহ অন্যান্য যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে তা মোকাবেলায় সরকারের প্রয়োজনীয় সহায়তা দরকার।
Advertisement
এফবিসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিমের সঞ্চালনায় উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে এফবিসিসিআই পরিচালক এবং সদস্য সংস্থাগুলোর প্রধানরা অংশ নেন। আলোচকবৃন্দ তাদের বক্তব্যে দেশের জন্য অত্যন্ত জরুরি বিনিয়োগ আকর্ষণে ‘বিনিয়োগ মন্ত্রণালয়’ ও ‘এসএমই মন্ত্রণালয়’ গঠন, মানবাধিকার ও শ্রমিক অধিকার নিশ্চিতকরণের দাবি জানান।
এসআই/জেএইচ/এমএস