প্রবাস

‘প্রবাসীদের সেবায় মিশনের কর্মকর্তারা বেশ আন্তরিক’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, প্রবাসীদের সেবা দিতে সরকার এবং মিশনের কর্মকর্তারা সব সময় আন্তরিক। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের পাশাপাশি দেশটির প্রত্যেকটি প্রদেশে দেয়া হচ্ছে কন্স্যুলার সেবা। এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে কাজ করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, প্রবাসীরা সেবা নিতে এসে যেন ভোগান্তির শিকার না হয় সেজন্য দ্রুত সেবা প্রদানের জন্য আরও ২৪ কর্মকর্তা দেশ থেকে আনা হয়েছে।

এছাড়া হাইকমিশনে চালু করা হয়েছে তথ্য সেবা কেন্দ্র। যেখানে সার্বক্ষণিক দুই কর্মকর্তা উপস্থিত থেকে পাসপোর্ট তৈরিতে বিনামূল্যে ফরম বিতরণ, ফটোকপি করা, পাসপোর্ট ডেলিভারি স্লিপ হারিয়ে গেলে উত্তোলনসহ যাবতীয় তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ায় যারা এসেছেন তাদের কিছু মেধার অভাব আছে। এ কারণে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করতে পারেননি। যারা সঠিক তথ্য উপস্থাপন করতে পারবেন তারাই পাসপোর্ট পাবেন এবং যারা তথ্য গোপন রাখবেন তারা পাসপোর্ট কখনই পাবেন না। এখন সম্পূর্ণ ডিজিটাল পাসপোর্ট। তথ্য গোপন করলেই পাসপোর্ট পেতে সমস্যা হবে।

Advertisement

এ সময় বাংলাদেশ হাইকমিশনার মুহা. শহীদুল ইসলাম, পাসপোর্ট অধিদফতরের ডিরেক্টর জেনারেল মো. মাসুদ রেজওয়ান পি এফসি, ডেপুটি হাইকমিশনার, ডিফেন্স উইং মো. হুমায়ূন কবির, লেবার কাউন্সিলর সায়েদুল ইসলাম, দূতালয় প্রধান ওয়াহিদা আহমেদ, মিনিস্টার রইছ হাসান সারোয়ার, প্রথম সচিব মাসুদ হোসাইন, কমার্শিয়াল উইং রাজিবুল আহসান, প্রথম সচিব শ্রম মো. হেদায়েতুল ইসলাম মণ্ডল, পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার প্রথম সচিব মো. মশিউর রহমান তালুকদার, প্রথম সচিব তাহমিনা ইয়াসমিন, পাসপোর্ট বিভাগের প্রজেক্ট ডিরেক্টর মেজর আবেদ, দূতাবাসের ২য় ফরিদ আহমেদ ও দূতাবাসের সব কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে ২০১৭ সালে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে পাসপোর্ট ইস্যু হয়েছে- ১ লাখ ৯৮ হাজার ৮০১টি। পাসপোর্টের আবেদন বা এনরোলমেন্ট করা হয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার। এছাড়া গত বছর ৪ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশিকে পাসপোর্ট সেবা দেয়া হয়েছে।

এক দিনে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৫০০ পাসপোর্ট ডেলিভারি ও প্রায় ২ হাজার নতুন পাসপোর্ট তৈরির আবেদন গ্রহণ বা এনরোলমেন্ট করা হয়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে আড়াই হাজার লোকের সেবা দেয়া হচ্ছে বলে দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে।

এমআরএম/জেআইএম

Advertisement