প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় রাতের আঁধারে ঘরে ঢুকে ভোলা সরকারি কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষের এক ছাত্রীকে বর্বরভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। হাত-পা ও চোখ-মুখ বেঁধে ওই কলেজছাত্রীর সারা শরীর ব্লেড ও ধারালে চাকু দিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে।
Advertisement
বুধবার গভীর রাতে দৌলতখান উপজেলার কলাকোপা গ্রামের জমাদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার ভোরে আহত কলেজছাত্রীকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরিবারের সদস্যদের দাবি- ঘরের সবাইকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে রাখায় তারা মেয়েটির ডাক-চিৎকার শুনতে পাননি।
আহত কলেজছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা জানান, তাদের সঙ্গে প্রতিবেশী তুহিন ও জিন্নাদের জমি-সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এ ছাড়াও দীর্ঘ দিন ধরে জিন্না মেয়েটিকে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে রাজি না হওয়ায় তাকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করত।
Advertisement
আহত কলেজছাত্রী জানান, তিনি তার খালার বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করতেন। অনার্স ২য় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা শেষে গত দু’দিন আগে তিনি মায়ের কাছে বেড়াতে আসেন। বুধবার পরিবারের সকলে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ৩টার দিকে পানি খাওয়ার জন্য পাশের রুমে গেলে আগে থেকে ওঁৎপেতে থাকা জিন্না, তুহিন ও পাবেলসহ কয়েকজন তার ওপর হামলা করে। এক পর্যায়ে তার চোখ-মুখ ও হাত-পা বেঁধে সমস্ত শরীরে ব্লেড ও চাকু দিয়ে খুঁচিয়ে-খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করে তারা।
খবর পেয়ে ভোলা সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মিজানুর রহমান ও প্রভাষক জামাল উদ্দিনসহ সহপাঠীরা গুরুতর আহত ছাত্রীকে দেখতে ভোলা সদর হাসপাতালে যান। এ সময় তারা দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত তুহিনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে অতি দ্রুত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আদিল হোসেন তপু/আরএআর/জেআইএম
Advertisement