১৫ মার্চ নেপালের স্থানীয় সংবাদ পোর্টাল শেখরনিউজ ডটকমে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি উড়োজাহাজকে খুব নিচ দিয়ে (স্থল থেকে অন্তত ২০০ ফুট ওপর দিয়ে) উড়ে যেতে দেখা যায়।
Advertisement
রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উত্তর-পূর্ব অবস্থিত গাগালফেদি থেকে ভিডিওটি ধারণ করা হয়।
কাঠমান্ডু পোস্টের বক্তব্য অনুযায়ী, উড়োজাহাজটি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস ২১১। ভিডিওটি উড়োজাহাজটি বিধ্বস্তের আগ মুহূর্তের। তবে ভিডিওটির সত্যতার বিষয়ে অন্য কোনো মাধ্যম থেকে নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। ইউএস-বাংলা বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের বক্তব্য অনুযায়ী, বিধ্বস্তের আগে তারা জানালা থেকে গাছ ও ঝোপ দেখেছেন। ভিডিওটিতে দেখা যায়, উড়োজাহাজটি ভূপৃষ্ঠের খুব কাছ থেকে বাঁক খেয়ে ধীরে ধীরে উপরে উঠতে শুরু করে। বাঁক খাওয়ার সময় এর পাখা দুটি থেকে সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয়ে উজ্জ্বল আলো দৃশ্যমান হয়।
স্থানীয়রা এ সময় বলতে থাকেন, ‘বিমানটি তার পথ হারিয়ে ফেলেছে, এটি উড়ছে, আর উড়ছে। কোন এয়ারলাইন্সের বিমান এটি? দেখে মনে হচ্ছে নতুন কোনো উড়োজাহাজ।’
Advertisement
ভিডিওটিতে আরও দেখা যায়, বিমানটির ল্যান্ডিং গিয়ার ডাউন করা হয়েছে, যার ইঙ্গিত হলো এটি অবতরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (১২ মার্চ) ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস ২১১ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর দুর্ঘটনায় পতিত হয়।
বিমানবন্দরের এটিসি টাওয়ারের দেয়া ভুল অবতরণ বার্তার জেরে আকাশে অপেক্ষা করতে থাকে বিমানটি। পরে ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। এর মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি। আহত হন ১০ বাংলাদেশি। তাদের নেপালের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ইতোমধ্যে আহত চারজনকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে অনাপত্তি দিয়েছে কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ (কেএমসি)। তারা হলেন- মেহেদী হাসান, কামরুন্নাহার স্বর্ণা, আলমুন নাহার এনি ও শেহরিন আহমেদ।
Advertisement
এমএআর/এমএস