সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল নাইম হাসান বলেছেন, অতীতের বিমান দুর্ঘটনার ঘটনাপ্রবাহ বিচারে ‘নেপাল ট্র্যাজেডি’ তদন্তে এক থেকে দেড় বছরও সময় লেগে যেতে পারে। এছাড়া আইকার (আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন) নিয়ম অনুযায়ী তদন্ত ধীরস্থিরভাবে সম্পন্ন করতে হবে। এটাই তদন্তের নিয়ম।
Advertisement
‘তবে প্রয়োজনে আরও বেশি সময় নেয়া যেতে পারে।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান তিনি। সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান বলেন, বিএস ২১১ উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে নিহতদের মধ্যে ১৯ জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এখন সেগুলো শনাক্ত করা হবে। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে সব মরদেহ দেশে আনা হবে।
‘মরদেহগুলো দ্রুত দেশে আনার জন্য আমার কাজ করছি’ বলেও জানান তিনি।
Advertisement
তদন্তের বিষয়ে নাইম হাসান বলেন, ‘তদন্ত নেপাল করবে। আমাদের টিম তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে। এ প্রক্রিয়া চলামান থাকবে।’
সিভিল এভিয়েশনের সদস্য (পরিকল্পনা ও পরিচালনা) মোস্তাফিজুর রহমান ও পরিচালক (ফ্লাইট সেফটি) চৌধুরী জিয়াউল কবির এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (১২ মার্চ) ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস-২১১ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। বাকিদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে।
বিমানটিতে মোট ৬৭ যাত্রীর মধ্যে বাংলাদেশি ৩২, নেপালি ৩৩ জন, একজন মালদ্বীপের এবং একজন চীনের নাগরিক ছিলেন। তাদের মধ্যে পুরুষ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৩৭, মহিলা ২৮ ও দু’জন শিশু ছিল।
Advertisement
আরএম/এমএআর/এমএস