শুধু নারীই নয়, পুরুষও ব্রেস্ট ক্যান্সারের শিকার হতে পারেন। শুধু তাই নয়, পুরুষের ক্ষেত্রে এ রোগের ঝুঁকি অনেকটা বেশি।
Advertisement
কারণ সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে নারীরা রুটিন ম্যামোগ্রাফি বা সেল্ফ এগজামিনেশন করে থাকেন। তাই প্রাথমিক স্টেজে এ রোগ ধরা পড়লে চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময়ের সম্ভাবনা বেশি। যেহেতু বেশিরভাগ পুরুষই এ ধরনের রুটিন টেস্ট করান না, তাই তাদের ক্ষেত্রে এ রোগ ধরা পড়ে অনেকটা দেরিতে।
ব্রেস্ট ক্যানসার ডট ওআরজি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, পুরুষ কিংবা নারী, ব্রেস্ট টিস্যু রয়েছে প্রতিটি মানুষের শরীরেই। কিছু ব্রেস্ট-স্টিমুলেটিং হরমোনের কারণেই নারী শরীরে স্তন গঠিত হয়। কিন্তু পুরুষের শরীরে তেমন কোনো হরমোন যেহেতু সক্রিয় থাকে না তাই পুরুষ শরীরে ব্রেস্ট টিস্যুগুলো সমতল থাকে। তবে কোনো কোনো পুরুষের বক্ষদেশ অপেক্ষাকৃত স্ফিত হয়।
সাধারণত এগুলো মেদজনিত কারণে হয়। অনেক সময়ে কিছু বিশেষ মেডিসিন নেওয়ার ফলে হরমোন লেভেলটি অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। তার ফলেও বক্ষস্ফিতি ঘটতে পারে। কিন্তু পুরুষ কিংবা নারী, উভয় দেহেই যেহেতু ব্রেস্ট টিস্যু রয়েছে, তাই ব্রেস্ট ক্যান্সার যে কোনো দেহেই হতে পারে।
Advertisement
সাধারণত পাঁচটি কারণে পুরুষ শরীরে এ ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে- বার্ধক্য, উচ্চ ইস্ট্রোজেন লেভেল, ক্লিনেফেল্টার সিনড্রোম (শরীরে পুং হরমোনের চেয়ে স্ত্রী-হরমোনের আধিক্য), ব্রেস্ট ক্যানসারের পারিবারিক ইতিহাস বা জেনেটিক মিউটেশন এবং তেজস্ক্রিয় বিকিরণ। কিভাবে বুঝবেন?ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণগুলো পুরুষ এবং নারীর দেহে একই রকম। তাই নারীদের ক্ষেত্রে ব্রেস্ট ক্যান্সারের যে লক্ষণগুলো দেখা যায়, পুরুষের ক্ষেত্রেও তাই। নিচের লক্ষণগুলোর যে কোনো একটিও যদি দেখা যায় তবে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া খুব জরুরি-
১. ব্রেস্টে যে কোনো ধরনের লাম্প গঠন২. নিপল বা স্তনবৃন্তে ব্যথা ৩. ইনভার্টেড নিপল বা স্তনবৃন্ত ভিতর দিকে ঢুকে যাওয়া৪. স্তনবৃন্ত ও আরিওলা অংশে ব্যথা ৫. বগলে স্ফিত লিম্ফ নোড
এএ
Advertisement