জাতীয়

কোটা সংস্কারের আন্দোলনে ‘হামলার’ প্রতিবাদে রোববার বিক্ষোভ

কোটা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বুধবার পুলিশ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা। বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তারা।

Advertisement

এ সময় তারা পুলিশি হামলার প্রতিবাদে আগামী ১৮ মার্চ (রোববার) দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। ওই দিন সকাল ১০টায় দেশের সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলা শহরে এ বিক্ষোভ পালিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে এ আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান ও মো. রাশেদ খান।

এ সময় হাসান আল মামুন বলেন, বুধবার আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে কোনো ধরণের উস্কানি ছাড়াই পুলিশ হামলা চালিয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে মিছিল নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় অভিমুখে রওয়ানা দিয়েছিলাম। কিন্তু হাইকোর্টের সামনে গেলে পুলিশ বলে আপনারা আর যেতে পারবেন না। তখন আমরা সেখানে অবস্থান নিয়েছিলাম। এক পর্যায়ে পুলিশের সহযোগিতায় ১০ জনের একটি প্রতিনিধি দল যখন মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম ঠিক তখনই তারা (পুলিশ) কোনো ধরণের উস্কানি ছাড়াই আমাদের ওপর টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে। আটক করা হয় ৩ জনকে। এরপর আমরা ৫০-৬০ জন তাদের ছাড়াতে রমনা থানায় গেলে পুলিশ সেখানে আমাদের কৌশলে আটক করে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত আমাদের একটু পানিও দেয়া হয়নি।

Advertisement

যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর অহিংস আন্দোলনে বিশ্বাসী। কিন্তু পুলিশ বিনা উস্কানিতে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে কোটা সংস্কারসহ পাঁচ দফা দাবিতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে সারাদেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন সাধারণ শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীরা। শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবি হলো- সরকারি নিয়োগে কোটার পরিমাণ ৫৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা, কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পেলে শূন্যপদে মেধায় নিয়োগ, কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা না নেয়া, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে অভিন্ন বয়সসীমা, নিয়োগপরীক্ষায় একাধিকবার কোটার সুবিধা ব্যবহার না করা।

এমএইচ/এমএমজেড/আরআইপি

Advertisement