কাঠমান্ডুতে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত বাংলাদেশিদের ডিএনএর নমুনা সংগ্রহের জন্য নেপালের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে একটি মেডিকেল টিম। ৯ সদস্যের এই মেডিকেল টিম নিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে বিজি-৭০১ ফ্লাইট।
Advertisement
এ টিমে রয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. লুতফর কাদের লেনিন, ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ, ঢামেকের সহকারী অধ্যাপক ডা. হোসেন ইমাম, অধ্যাপক ডা. মনসুর রহমান, ডা. এ কে এম ফেরদৌস রহমান ও ডা. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন। এছাড়া এ টিমে আরও আছেন জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) সহকারী অধ্যাপক ডা. মুশফিকুর রহমান, ডা. রিয়াদ মজিদ ও সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. রাজিব আহমেদ। যদিও এর আগে বুধবার বলা হয়েছিল সাত সদস্যের মেডিকেল টিম নেপাল যাবে। পরে এই টিমে আরও দুইজন বাড়ানো হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা হয় নেপালগামী চিকিৎসক টিমের।
নেপালে কতদিন থাকার পরিকল্পনা আছে জানতে চাইলে ঢামেকের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের কোনো নির্দিষ্ট টাইম ফ্রেম নেই। আমরা সেখানে যাব, এরপর পরিস্থিতি অবজারভেশন করব। ড. হোসেন ইমাম বলেন, ‘আমরা আহতদের এনশিউর করব যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাদের পাশে আছেন। যত রকমের সাহায্য দরকার তা করা হবে। আমাদের প্রধান কাজ হলো তাদের সাহায্য করা।’
চিকিৎসার সরঞ্জামাদি সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন কি না এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরঞ্জামাদির ব্যাকআপ আছে। আমরা আসলে প্ল্যান করব কী করতে হবে। ওইখানে তিনটি হাসপাতালে রোগী ভর্তি আছে। ওখানে বসে নেপালের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করব করণীয় কী।
Advertisement
গত সোমবার (১২ মার্চ) ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস ২১১ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর দুর্ঘটনায় পতিত হয়। বিমানবন্দরের এটিসি টাওয়ারের দেয়া ভুল অবতরণ বার্তার জেরে আকাশে অপেক্ষা করতে থাকে বিমানটি। পরে ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। এর মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি নিহত হন। আর ১০ বাংলাদেশি আহত হন। তাদের নেপালের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদের চারজনকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে অনাপত্তি দিয়েছে কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ (কেএমসি)। তারা হলেন- মেহেদী হাসান, কামরুন্নাহার স্বর্ণা, আলমুন নাহার এনি ও শেহরিন আহমেদ।
আরএম/জেডএ/আরআইপি