জাতীয়

পুলিশি বাধায় পণ্ড কোটাবিরোধী আন্দোলন, রোববার মোমবাতি প্রজ্জ্বলন

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসসহ (বিসিএস) সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা সংস্কার করে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনাসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি পুলিশের হামলায় পণ্ড হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন কয়েকজন আন্দোলনকারী। আটক করা হয়েছে ৩ জনকে। প্রতিবাদে আগামী ১৮ মার্চ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

Advertisement

এর আগে বুধবার দুপুরে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে একটি মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অভিমুখে রওয়ানা হয়। মিছিলটি হাইকোর্ট মোড়ে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নেয়। আন্দোলনকারীদের আশা ছিল আধা ঘণ্টার মধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা সেখানে এসে তাদের আশ্বস্ত করবেন। কিন্তু নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগেই পুলিশ তাদের ওপর টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় কোটা সংস্কার দাবির আন্দোলন।

বিনা উস্কানিতে পুলিশ এ হামলা করছে অভিযোগ করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রেদওয়ান ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ আমাদের ওপর বিনা কারণে হামলা চালিয়েছে। আমরা কোনো সহিংস আন্দোলন করতে যাইনি সেখানে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলাম’।

এদিকে সোহরাব, জহির, আরিফ নামে আন্দোলনকারীকে আটক করছে পুলিশ। বর্তমানে তারা শাহবাগ থানায় আছেন। আহত হয়েছেন ৫-৭ জন। তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

Advertisement

হাইকোর্টের সামনে বাধা পেয়ে আন্দোলনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নেন এবং যান চলাচল বন্ধ করে দেন। প্রায় আধা ঘণ্টা অবস্থান শেষে তারা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে এদিনের আন্দোলন শেষ করেন। একই দাবিতে আজ (বুধবার) সারা দেশে বিক্ষোভ ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হচ্ছে।

আন্দোলনকারীদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করে ৫৬% থেকে ১০% এ নিয়ে আসা; কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে শূন্য থাকা পদসমূহে মেধায় নিয়োগ দেয়া; কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা নয়; সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন বয়সসীমা নির্ধারণ করা এবং চাকুরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যাবহার না করা।

এমএইচ/এমএমজেড/এমএস

Advertisement