ব্ল্যাক হোল (কৃষ্ণগহ্বর) নিয়ে গবেষণার জন্য বিশ্বজুড়ে খ্যাতি লাভ করেন স্টিফেন হকিং। পদার্থবিদ্যার ওপর তাঁর বই 'কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস' ১ কোটির বেশি কপি বিক্রি হয়েছে।
Advertisement
বিজ্ঞানী গ্যালেলির মৃত্যুর ঠিক ৩০০ বছর পর ৮ জানুয়ারি ১৯৪২ সালে জন্ম হয়েছিল স্টিফেন হকিংয়ের। তাঁর মৃত্যু হল বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের জন্মদিনে।
এক নজরে দেখে নিন স্টিফেন হকিংয়ের জীবন ও কাজ
১. ১৯৪২ সালের ৮ জানুয়ারি ব্রিটেনের অক্সফোর্ডে জন্ম হয় স্টিফেন হকিংয়ের।
Advertisement
২. তাঁর প্রাথমিকের পাঠ শেষ হয় লন্ডনে। পরে সেন্ট অ্যালবেন্সে চলে যায় তাঁর পরিবার।
৩. ১৯৫২ সালে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি কলেজে ভর্তি হন তিনি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন তাঁর বাবাও।
৪. ছাত্র হিসাবে খুব মেধাবি ছিলেন না হকিং। বিভিন্ন সময় পড়াশুনোয় মনোনিবেশ করাতে তাঁকে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে।
৫. গণিত নিয়ে পড়াশুনো করার ইচ্ছা থাকলেও অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি কলেজে গণিত বিভাগ না থাকায় পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়াশুনো শুরু করেন তিনি।
Advertisement
৬. ১৯৬৫ সালে জিন বিল্ডের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। দম্পতির ৩টি সন্তান রয়েছে। ১৯৯৫ সালে বিল্ডের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় হকিংয়ের।
৭. ১৯৯৫ সালেই অ্যালেন মেসনকে বিয়ে করেন হকিং। ২০০৭ সাল পর্যন্ত এই বিয়ে টিকেছিল। বিয়ের পরই পূর্বপত্নীর বিরুদ্ধে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ তোলেন হকিং। যা নিয়ে বিস্তর জলঘোলাও হয়।
৮. ১৯৬২ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা শুরু করেন হকিং। ১৯৬৫ সালে তিনি গবেষণা শেষ করেন। ১৯৬৯ সালে ফেলো ফর ডিস্টিংশন ইন সায়েন্স হন তিনি।
৯. মহাজাগতিক পদার্থবিজ্ঞানে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্বের অবতারণা করেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে হকিং রেডিয়েশন, প্যানরোজ - হকিং তত্ত্ব, বেকেনস্টাইন - হকিং ফরমুলা, হকিং এনার্জি, গিবসন - হকিং স্পেস ও গিবসন - হকিং এফেক্ট।
১০. ১৯৬৩ সালে মাত্র ২১ বছর বয়সে মোটর নিউরোন রোগে আক্রান্ত হন স্টিফেন হকিং। চিকিত্সক জানান, মাত্র ২ বছর আয়ু তাঁর। কিন্তু পরে চিকিত্সকরা জানান ৫৫ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচতে পারেন তিনি। তবে সব অনুমানকেই মিথ্যে করে দিয়েছে তাঁর জীবনীশক্তি।
১১. আমৃত্যু কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের থিওরেটিক্যাল মহাজাগতিক পদার্থবিদ্যা বিভাগের ডিরেক্টর ছিলেন তিনি।
এএ