জাতীয়

বীভৎসতার কারণে স্বজনদের মরদেহ দেখতে দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ

নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইউএস বাংলার বিমান দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ২৬ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মরদেহ কাঠমান্ডু টিচিং হাসপাতালে রাখা হয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার সকালে ইউএস-বাংলা, রিজেন্ট এয়ারওয়েজ এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে হতাহত অনেকের আত্মীয়-স্বজন কাঠমান্ডু এসেছেন। তবে তাদের হাসপাতালে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, মরদেহগুলো আগুনে পুড়ে বীভৎস হয়ে গেছে। এগুলো চোখে দেখে শনাক্ত সম্ভব নয়। মরদেহগুলো দেখে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে এ আশঙ্কায় কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।

জাগো নিউজের সঙ্গে কথা হয় ইউএস-বাংলার কেবিন ক্রু শারমিন আক্তার নাবিলার ভাসুর (স্বামীর বড় ভাই) বাবলুর সঙ্গে। তিনি জানান, নাবিলা মারা গেছে শুনে বাংলাদেশ থেকে এসেছি। কিন্তু আমাদের হাসপাতালে মরদেহ দেখতে দেয়া হচ্ছে না। এজন্য আমরা দূতাবাসের সাহায্য চেয়েছি।

Advertisement

আহত কবির হোসেনের ছেলে শাওন জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাবাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক নিয়ে যেতে চাই। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না।’ এ বিষয়ে নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস বলেন, এখানকার হাসপাতালগুলোর প্রসেস একটু কমপ্লিকেটেড (জটিল)। আমরা তাদের (প্রসেস) শিথিল করার জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।

সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৪ ক্রুসহ ৬৭ আরোহী নিয়ে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটে। এতে অর্ধশতাধিক যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। এর মধ্যে পাইলট, ক্রুসহ বাংলাদেশি ৩৬ জনের মধ্যে ২৬ জন মারা গেছেন। বাকি ১০ জন নেপালের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

এআর/এসআই/এমবিআর/এমএস

Advertisement