আইন-আদালত

খালেদার প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট কারাগারে

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আগামী ২৮ ও ২৯ মার্চ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করার জন্য যে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট দেয়া হয়েছে তা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে দুই মামলায় খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করার জন্য প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছে।

Advertisement

ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ আদালতের পেশকার মোকারম হোসেন মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করার জন্য যে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট দেয়া হয়েছে তা কারা কর্তৃপক্ষর কাছে একজন পিয়নের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।

এদিন সকালে রাজধানীর বকশিবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান আগামী ২৮ ও ২৯ মার্চ খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করার জন্য প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করেন।

এর আগে ২৬ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করা-সংক্রান্ত আদেশ দেয়ার কথা ছিল। তবে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের জামিন বাড়ানোর আবেদনের পর বিচারক এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে ১৩ ও ১৪ মার্চ এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করেন আদালত।

Advertisement

বিচারক বলেন, অন্য মামলায় (জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি) খালেদা জিয়া কারাগারে রয়েছেন। এর আগে (১৩ মার্চ) জামিনে বের হলে আদালতে হাজির হতে আর আদেশ দিতে হবে না। আর জামিন না পেলে ১৩ মার্চ এ বিষয়ে আদেশ দেয়া হবে।

খালেদা জিয়া কারাগারে থাকায় দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল তাকে আদালতে হাজির করার জন্য একটি আবেদন করেন। তিনি বলেন, এ মামলায় তাকে (খালেদা জিয়া) ছাড়া যুক্তিকর্ত উপস্থাপন করা যাবে না। তাই তাকে আদলতে উপস্থিত করার জন্য জেল কর্তৃপক্ষকে আদেশ দেয়া হোক।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুদক।

২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

Advertisement

উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। এ মামলায় অন্য আসামি খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। রায়ের পর খালেদা জিয়াকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে খালেদা জিয়া সেখানেই বন্দি রয়েছেন।

১২ মার্চ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়াকে এ মামলায় চার মাসের জামিন মঞ্জুর করেন।

অপরদিকে একই দিন কুমিল্লায় যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা হামলায় ৮ যাত্রী হত্যা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশসহ ২৮ মার্চ তাকে আদালতে হাজির রাখতে নির্দেশ (পি ডব্লিউ) দিয়েছেন কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুস্তাইন বিল্লাহ।

জেএ/জেএইচ/এমএস