নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইউএস-বাংলার বিমান দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ২৬ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মরদেহ কাঠমান্ডু টিচিং হাসপাতালে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে অনেকের আত্মীয়-স্বজন কাঠমান্ডুতে এলেও তাদের মর্গে ঢুকতে দেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
Advertisement
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, মরদেহগুলো আগুনে পুড়ে বীভৎস হয়ে গেছে। এগুলো চোখে দেখে শনাক্ত সম্ভব নয়। মরদেহগুলো দেখে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে এ আশঙ্কায় কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।
এ বিষয়ে নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস বলেন, এখানকার হাসপাতালগুলোর প্রসেস একটু কমপ্লিকেটেড (জটিল)। আমরা তাদের (প্রসেস) শিথিল করার জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।
এদিকে কবে নাগাদ মরদেহ দেশে ফেরত পাঠানো হবে তাও নিশ্চিত নয়।
Advertisement
নিহতদের মরদেহ কবে ফেরত দেয়া হতে পারে জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, আজ নেপালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন চলছে। এ কারণে ব্যবস্থা নিতে একটু সমস্যা হচ্ছে। পাশাপাশি হাসপাতালগুলোতে এতবড় দুর্ঘটনার প্রস্তুতি সবসময় থাকে না। সেজন্য একটু সময় লাগছে। আমরা নেপালের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দফতরে হাসপাতালের কাজগুলো ত্বরান্বিত করার কথা বলেছি। এছাড়া দেশে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলেছি নেপালের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এ বিষয়ে বলতে।
এআর/এমবিআর/আরআইপি