মতামত

এক যাত্রায় কতো প্রিয় মুখ

শেখ মামুনূর রশীদ

Advertisement

রাতে মাঝে মধ্যেই কাকরাইলে আমরা আড্ডা দেই। সেই আড্ডার প্রিয় মুখ জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ খান। সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান আরিফ খানের উপস্থিতি মানেই- আড্ডা, হাসি আর খানাপিনা। শুক্রবার ধুমধামে তার ভাতিজার বিয়ে করলো। হানিমুনের গন্তব্য ঠিক হলো নেপাল। জীবন বড় নিষ্ঠুরতার পরিচয় দিলো এখানেও। মেয়েটির হাতের মেহেদী, আঙুলের আংটি। ছেলেটির হাতে ঘড়ি, আংটি- সবই আছে । কেবল; নেই প্রাণ।

জীবন ও মৃত্যুর মাঝামাঝি একটি সাকো। যার আয়তন খুবই ছোট ছিল বলেই হয়তো ওদের এভাবে বিদায় নিতে হলো। তোমরাও পরপারে ভালো থেকো।

দুই.

Advertisement

বৈশাখী টেলিভিশনের রিপোর্টার ফয়সল। পুরো নাম ফয়সল সরদার। খুব প্রিয় ছোট ভাই। বৃহস্পতিবার রাতেও দেখা। শুরুতে ডেক্সে কাজ করতো। বন্ধু দ্বীপ আজাদের উৎসাহে একসময় রিপোর্টিয়ে নাম লেখালো। শুক্রবার আওয়ামী লীগ বিটের রিপোর্টারদের নৌ-বিহার মাতিয়ে রাখা হ্যান্ডসাম-মিশুক-প্রাণবন্ত এ ছেলেটি র‌্যাফেল ড্রতে প্রথম পুরস্কার জিতে নেয়। এরপর পাঁচদিনের ছুটি নিয়ে নেপাল। তারপরের ঘটনা সবার জানা।ফয়সল। ভাই আমার; পরপারে ভালো থাকিস।

তিন. সংসদ, সংসদীয় কমিটি, স্থানীয় সরকার নির্বাচন- এসব নিয়েই মূলত আমার কাজকারবার। আর এ কাজে দেশে সবচাইতে বেশি তথ্য ভান্ডার সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজনের হাতে। প্রতিষ্ঠানটির সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। ব্যস্ত মানুষ তিনি। হুট হাট দেশের বাইরে যান, দেশের ভেতরেও ব্যাপক ঘোরাঘুরি। সবসময় পাই না, সময় মতোন পাওয়া যায় না- এমন অভিযোগ করতেই ড. বদিউল আলম মজুমদার একদিন তার অফিসের একটি মেয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন, ফোনেই। সুজনের মিডিয়া উইং দেখভাল করেন।

পরিচয়ের পর থেকে নানা সময়ে কথা হয়েছে মেয়েটির সঙ্গে। দুই-চারবার সুজনের ইকবাল রোডের অফিসেও দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে। প্রানবন্ত, বিনয়ী, সজ্জন। সবচাইতে বড় ভালো লাগার বিষয়টি হচ্ছে- সে খুব আন্তরিকভাবে যে কোনো তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহযোগিতা করে। স্বামী সন্তান নিয়ে বেড়াতে যাচ্ছিলেন নেপাল। মাটিতে পা ফেলার আগেই জীবন ফুরিয়ে গেলো তার।

পরপারে ভালো থাকবেন বিপাসা। খুব মিস করবো আপনাকে।

Advertisement

লেখক : সাংবাদিক।

এইচআর/আরআইপি