নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস-বাংলা বিমানের যাত্রী ছিলেন মুন্সীগঞ্জের ইয়াকুব আলী। বিমান দুর্ঘটনায় আহত হয়ে নেপালের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
Advertisement
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বিমান দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকে ইয়াকুব আলীর পরিবার উৎকণ্ঠায় ছিলেন। এরই মধ্যে মঙ্গলবার তার পরিবার জানতে পারেন নেপালের একটি হাসপাতালের আইসিইউতে আছেন ইয়াকুব আলী।
ইয়াকুব আলী মুন্সীগঞ্জ টঙ্গীবাড়ি উপজেলার কামারখাড়া ইউনিয়নের বেশনাল গ্রামের ইউনুছ বেপারীর ছেলে। তিনি ৫ ভাই-বোনের মধ্যে বড়। প্রায় ৮ বছর আগে আঁখি আক্তারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
দাম্পত্য জীবনে তাদের ইয়ানুফ নামের সাত বছরের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। স্ত্রী সন্তান নিয়ে ইয়াকুব ঢাকার মোহাম্মদপুরের আদাবর এলাকার প্রপাল হাউজিংয়ের ২ নম্বর রোড়ের ৪২/সি নম্বর বাসায় বসবাস করতেন।
Advertisement
ইয়াকুব আলী ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় কসমেটিকস’র ব্যবসা করতেন। ব্যবসার কাজে বিভিন্ন সময় মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে যাতায়াত ছিল তার। সোমবার ব্যবসার কাজে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নেপালের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন তিনি।
আহত রিপনের বন্ধু মো. আক্তার জানান, নেপালে ইউএস-বাংলা বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামালের নেতৃত্বে মঙ্গলবার বেলা ১১টা ২১ মিনিটে বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইট স্বজনদের নিয়ে নেপালের কাঠমান্ডুতে যান। তাদের সেই দলটির সঙ্গে ইয়াকুব আলী রিপনের ছোট ভাই দীপু বেপারী ছিলেন।
ইয়াকুব আলী রিপনের ছোট ভাই শিপু বেপারী জানান, মঙ্গলবার আমার ভাই দীপু বেপারী সরকারি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে নেপাল যান। সেখান গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, আমাদের বড় ভাই ইয়াকুব আলী রিপন নেপালের কাঠমান্ডু এলাকার নরবিট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে ইয়াকুব আইসিইউতে আছেন। গতকাল থেকে আজ তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তিনি শঙ্কামুক্ত।
উল্লেখ্য, ইউএস-বাংলা বিমানটি সোমবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ৫১ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যায়।
Advertisement
সোমবার (১২ মার্চ) বেলা ২টা ২০ মিনিটে পার্বত্য শহর কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস-২১১ ফ্লাইটটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে চার ক্রুসহ মোট ৭১ জন আরোহী ছিলেন। এর মধ্যে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন।
ভবতোষ চৌধুরী নুপুর/এএম/এমএস