জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রাখা হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার হাইকোর্টের দেয়া জামিন আটকাতে চেম্বার আদালতে আবেদন করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ‘নো অর্ডার’ দিয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।
আগামীকাল বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এর ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত, দুদক ও অ্যাটর্নি জেনারেলের দফতর থেকে জামিন স্থগিত চেয়ে মঙ্গলবার চেম্বার আদালতে আলাদা আবেদন করা হয়।
Advertisement
গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে এতিমখানা দুর্নীতি মামলার রায়ের পর থেকে গত ৩২ দিন ধরে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
নিম্ন আদালত থেকে ওই মামলার নথি হাইকোর্টে আসার পর তা দেখে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল সোমবার দুপুরে তাকে চার মাসের জামিন মঞ্জুর করে।
সেই সঙ্গে তার আপিল শুনানির জন্য ওই সময়ের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখাকে পেপারবুক তৈরি করতে নির্দেশ দেয়া হয়।
খালেদা জিয়ার জামিনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষ দ্রুততম সময়ের মধ্যে আপিল শুনানি শুরুর আদেশ চাইলেও হাইকোর্ট চারটি যুক্তিতে জামিন মঞ্জুর করেন।
Advertisement
এগুলো হলো- ১. নিম্ন আদালত পাঁচ বছরের সাজা দিয়েছে, এ সাজায় হাইকোর্টে জামিনের রেওয়াজ আছে। সে বিবেচনায় তিনি জামিন পেতে পারেন। ২. বিচারিক আদালতের নথি এসেছে, কিন্তু আপিল শুনানির জন্য এখনও প্রস্তুত হয়নি। ফলে আসামি জামিনের সুবিধা পেতে পারেন। ৩. বিচারিক আদালতে মামলা চলাকালে খালেদা জিয়া জামিনে ছিলেন; এর অপব্যবহার করেননি। আদালতে নিয়মিত উপস্থিত ছিলেন। ৪. বয়স এবং বয়সজনিত শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় নিয়ে তাকে জামিন দেয়া যায়।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম সোমবারই বলেছিলেন, তারা হাইকোর্টের জামিন আদেশের বিরুদ্ধ চেম্বার আদালতে যাবেন।
এফএইচ/এমএআর/জেআইএম