আন্তর্জাতিক

বেঁচে নেই বিধ্বস্ত বিমানের তিন ক্রু

নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত বাংলাদেশি বিমানের প্রধান পাইলট আবিদ সুলতানসহ অন্য তিন ক্রু মারা গেছেন। মঙ্গলবার কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরের মহাব্যবস্থাপক রাজকুমার ছেত্রী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

Advertisement

বিমানের অন্য তিন ক্রু হলেন, কো-পাইলট প্রিথুলা রশিদ, খাজা হোসাইন মোহাম্মদ শাফি ও শামিম আক্তার। রাজকুমার ছেত্রী বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে অাসা ইউএস-বাংলার বিমানটি ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার পরপরই চার ক্রুর সবাই মারা যান।

তবে তারা ঘটনাস্থলে নাকি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন সেব্যাপারে নিশ্চিত করতে পারেনি। এছাড়া বিমান বিধ্বস্তে বেঁচে যাওয়া ১০ বাংলাদেশির মধ্যে তিন থেকে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস২১১ চার ক্রু ও ৬৭ আরোহী নিয়ে সোমবার ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুর ত্রিভূবন বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল। ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেম নাথ ঠাকুর বলেছেন, ‘দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট টার্বোপ্রোপ বিমানটি ৬৭ আরোহী ও চার ক্রু নিয়ে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল।’

Advertisement

দেশটির বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক সানজিব গৌতম বলেন, রানওয়েতে অবতরণের চেষ্টার সময় বিমানটির পাইলট নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন।

তিনি বলেন, ইউএস-বাংলার বিমানটিকে বিমানবন্দরের দক্ষিণ-প্রান্ত থেকে রানওয়েতে অবতরণের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বিমানটি বিমানবন্দরের উত্তর অংশ থেকে অবতরণের চেষ্টা করে। এ সময় হঠাৎ বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।

সানজিব গৌতম বলেন, ‘যাত্রীদের মধ্যে ৩৭ পুরুষ, ২৭ নারী ও দুই শিশু ছিল। এদের মধ্যে অন্তত ৩৩ জন নেপালের, ৩২ জন বাংলাদেশের নাগরিক।’ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বোম্বারডায়ার ড্যাশ ৮ কিউ-৪০০ বিমানটি দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানবন্দরের পাশে ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়।

পুলিশ কর্মকর্তা মনোজ নোপ্যানে বলেন, বিমানের ধ্বংসাবশেষের ভেতর থেকে ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদিকে, হাসপাতালে নেয়ার পর ১৮ জনকে মৃত ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা।

Advertisement

ত্রিভুবন বিমানবন্দরের মহাব্যবস্থাপক রাজকুমার ছেত্রী বলেন, নিহতদের মধ্যে ২১জন নেপালি, চীন ও মালদ্বীপের একজন করে নাগরিক রয়েছেন।

সূত্র : কাঠমান্ডু পোস্ট, হিমালয়ান টাইমস।

এসআইএস/জেআইএম