আইন-আদালত

মানবতাবিরোধী অপরাধ : আমির আলীসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নোয়াখালী জেলার সুধারাম এলাকার চারজনের মধ্যে আমির আলীসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া অপর আসামি আব্দুল কুদ্দুসকে ২০ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে গতকাল (রোববার) রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।

ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, আসামিদের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগের মধ্যে তিনটিই প্রমাণিত হয়েছে। প্রথম অভিযোগেই তিনজনের মৃত্যুদণ্ড ও বাকি একজনের ২০ বছর কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনালের বিচারকরা।

মামলার আসামি চারজনের মধ্যে আমির আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমির আলী, জয়নাল আবদিন ও আব্দুল কুদ্দু গ্রেফতার রয়েছেন। বাকি আসামি আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুর পলাতক। এছাড়া মামলার অন্য আসামি ইউসুফ আলী গ্রেফতার হওয়ার পর অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

Advertisement

ট্রাইব্যুনালে আজ (মঙ্গলবার) আসামিদের বিরুদ্ধে ১৫৯ পৃষ্ঠার মোট রায়ের সংক্ষিপ্ত রায় পড়া হয়। এ সময় গ্রেফতার তিন আসামি ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।

২০১৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নোয়াখালীর সুধারামে ১১১ জনকে হত্যা-গণহত্যার তিনটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১৬ সালের ২০ জুন অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ চারজনের বিচার শুরু হয়।

এর আগে ২০১৪ সালের ১৬ নভেম্বর থেকে গত বছরের ৩০ আগস্ট পর্যন্ত এ মামলায় পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন। গত বছরের ৩১ আগস্ট তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওই দিনই প্রসিকিউশনের কাছে জমা দেয় তদন্ত সংস্থা।

২০১৫ সালের ৫ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানান প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম। ট্রাইব্যুনাল গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে ওই দিনই নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর থেকে গ্রেফতার হন আমির আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমির আলী, জয়নাল আবদিন ও ইউসুফ আলী। পরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গ্রেফতার করা হয় আব্দুল কুদ্দুসকে।

Advertisement

ওই বছরের ১৪ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়ে পলাতক আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুরকে আত্মসমর্পণে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। পরে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও তিনি আত্মসমর্পণ করেননি বা গ্রেফতার হননি।

এফএইচ/আরএস/জেআইএম