জাতীয়

বিধ্বস্ত বিমানের ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে বইটিও

নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্তে ৫০ জনের মতো প্রাণহানি ঘটেছে। আহত হয়েছেন আরও ১৯ জন। বিমানটিতে ৬৭ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রু ছিলেন। যাদের মধ্যে ৩২ জন বাংলাদেশি, ৩৩ জন নেপালের নাগরিক। মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় শোকাহত পুরো বাংলাদেশ ও নেপাল।

Advertisement

বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস-বাংলার বিমানে সিলেটের জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৩ জন শিক্ষার্থী ছিলেন। তারা সবাই নেপালি বংশোদ্ভূত এবং কেউ বেঁচে নেই বলে নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেসে বেড়াচ্ছে ধ্বংসাবশেষের নানা ছবি। তেমনি একটি ছবি এটি। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের একটি বই পড়ে আছে। পাশেই পড়ে রয়েছে সিলেট এলাকার কোনো একটি ফেব্র্রিকস-এর ব্যাগ। ক্ষতবিক্ষত মেডিক্যাল শিক্ষার্থীর বইটি বয়ে বেড়াচ্ছে এ ক্ষতের চিহ্ন।

ইউএস-বাংলার যে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেখানে ১৩ জন নেপালি মেডিক্যাল শিক্ষার্থী ছিলেন। বইটি হয়তো তাদেরই কারো একজনের। নেপালি বংশোদ্ভূত ওই ১৩ শিক্ষার্থীর কেউ বেঁচে নেই। তবে এ দুর্ঘটনায় দেশটি কতটুকু ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে, এ বইটি তার উদাহরণ।

Advertisement

রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৩ শিক্ষার্থী হলেন- সঞ্জয় পৌডেল, সঞ্জয়া মহারজন, নেগা মহারজন, অঞ্জলি শ্রেষ্ঠ, পূর্ণিমা লোহানি, শ্রেতা থাপা, মিলি মহারজন, শর্মা শ্রেষ্ঠ, আলজিরা বারাল, চুরু বারাল, শামিরা বেনজারখার, আশ্রা শখিয়া ও প্রিঞ্চি ধনি।

উল্লেখ্য, গতকাল (সোমবার) নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত হওয়ার আগে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। নেপাল সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ৫০ জনের নিহত হয়েছেন।

ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেম নাথ ঠাকুর বলেছেন, দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট টার্বোপ্রোপ বিমানটি ৬৭ আরোহী ও ৪ জন ক্রু নিয়ে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল। যাত্রীদের মধ্যে ৩৭ পুরুষ, ২৭ নারী ও দুই শিশু ছিল। তাদের মধ্যে ৩৩ জন নেপালের নাগরিক।

আরএস/জেআইএম

Advertisement