নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্তে ৫০ জনের প্রাণহানির ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কাঠমান্ডুর প্লেন ক্র্যাশে আমি মর্মাহত। যারা মারা গেছেন তাদের প্রতি আমি শোক জানাচ্ছি। দুর্ঘটনার পরই আমার সঙ্গে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর কথা হয়েছে। তিনি দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছেন। আমিও দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছি। কারণ সেখানে বাংলাদেশের পাশাপাশি নেপালেরও ছিল। এছাড়াও মালদ্বীপ, চায়নাসহ বিভিন্ন দেশের ছিল।
Advertisement
৭১ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ৩৩ জন বেঁচে নাই। অন্যদিকে ১৪ জন বাংলাদেশি ও চারজন নেপালি বেঁচে আছেন বলে আমরা জানতে পারছি। আহতদের নেপালের পাঁচটি হাসপাতলে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনা নেপালের সেনা ছাউনির কাছাকাছি হওয়ায় তারা তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার কাজ শুরু করে। আমাদের রাষ্ট্রদূতও সেখানে পৌঁছে যান। আমাদের তিন বাহিনীর প্রধান, পিএসওসহ প্রতিটি কর্মকর্তা যোগাযোগ রাখছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও যোগাযোগ রাখছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনীয় লোকবল ও চিকিৎসকসসহ আমাদের একটা প্লেন রেডি করা আছে। যেহেতু নেপালের বিমানবন্দর এখনও খোলে নাই তাই আমরা আমাদের টিম পাঠাতে পারছি না। আমাদের যা যা প্রয়োজন তাই করবো, নেপালের প্রধানমন্ত্রীকেও আমি একই কথা বলছি।
Advertisement
তিনি বলেন, যেহেতু আগুনে পুড়ে গেছে। অনেকগুলো ডেডবডি শনাক্ত করাই কঠিন হবে বলে আমি মনে করি। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি বিমানবন্দর চালু হওয়া মাত্রই আমাদের টিম যাবে। প্রয়োজনে পারদর্শী ডাক্তার দিয়ে টেলিফোন কিংবা ভিড়িও কনফারেন্সের মাধ্যমে সহযোগিতা করবো। যখনই সুযোগ পাবো পাঠাবো। নিয়ে আসার সুযোগ হলেই নিয়ে আসবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা মারা গেছেন তাদের প্রতি শোক। আর যারা চিকিৎসাধীন আছেন তাদের জন্য সবধরনের কাজ করতে আমরা প্রস্তুত। আমি নেপালের প্রধানমন্ত্রীকেও একই কথা বলছি।
এইউএ/বিএ
Advertisement