দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন শহরে নিজ দোকানের কর্মচারীর ছুরিকাঘাতে নিহত মো. ওয়াসিমের (২১) গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার আমতলীতে চলছে শোকের মাতম। আদরের সন্তানের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পর থেকেই বারবার কান্নায় মূর্ছা যাচ্ছেন মা স্বপ্না বেগম ও বাবা খায়েশ মিয়া। বন্ধুর মৃত্যুতে শোকাহত ওয়াসিমের বন্ধুরাও। পরিবারের সদস্যদের দাবি দ্রুত ওয়াসিমের মরদেহ যেন দেশে ফেরত আনার ব্যবস্থা করে সরকার। পাশাপাশি ওয়াসিমের হত্যাকারীকে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি জানিয়েছেন তারা।নিহতের পারিবারক সূত্রে জানা যায়, গত সাত মাস আগে সাত লাখ টাকা ঋণ নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা যান ওয়াসিম। সেখানে গিয়ে বড় ভাই জসিমের সঙ্গে কেপটাউন শহরের বসবাস করছিলেন ওয়াসিম। কেপটাউন শহরে জসিমের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোর রয়েছে। দুই ভাই মিলে একসঙ্গে সেই দোকান চালাতেন। বৃহস্পতিবার রাতে জসিম তার ছোট ভাই ওয়াসিমকে দোকানে রেখে নিমন্ত্রণ খেতে অন্য স্থানে যান। নিমন্ত্রণে যাওয়ার আগেই সর্বশেষ ভাইয়ের মুখখানা দেখেছিল জসিম। ঘটনার দিন রাতে ওয়াসিমের সঙ্গে তাদের দোকানের একজন কর্মচারী ছিলেন। সেই কর্মচারী ওয়াসিমকে নেশা জাতীয় খাবাই খাইয়ে অচেতন করে প্রথমে ছুরিকাঘাত করে এবং পরে গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এরপর দোকানে থাকা নগদ টাকা ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ মালামাল নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন ওয়াসিমের স্বজনরা। পরে শুক্রবার সকালে জসিম দোকানে এসে তার ছোট ভাই ওয়াসিমের রক্তাক্ত মরদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে। এরপর দ্রুত ভাইয়ের মৃত্যুর সংবাদটি মোবাইলের মাধ্যমে গ্রামের বাড়িতে জানায়।ওয়াসিমের মৃত্যুর খবরে আমতলী গ্রামে শোকের ছায় নেমে এসেছে। ছেলের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে বাবা খায়েশ মিয়া মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। ছেলে হারানোর শোকে পাথর হয়ে গেছেন তিনি, আর ওয়াসিমের মা স্বপ্না বেগম বারবার কান্নায় মূর্ছা যাচ্ছেন। এছাড়া নিজেদের বন্ধুর অকাল মৃত্যুতে শোকাহত ওয়াসিমের বন্ধুরাও। ওয়াসিমের পরিবার ও এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত যেন তার মরদেহ দেশে আনার ব্যবস্থা করে সরকার।আজিজুল আলম সঞ্চয়/এআরএ/পিআর
Advertisement