শ্রীদেবীর মৃত্যু রহস্য যেন থামতেই চাইছে না। দুবাইতে শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর জানানো হয় হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে তার। কিন্তু পরদিন জানা যায়, হার্ট অ্যাটাক নয়; বাথরুমে বাথটাবের জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে বলিউডের প্রথম নারী সুপারস্টারের। সে নিয়ে হয় অনেক জল ঘোলা।
Advertisement
সমালোচনার মুখে পড়েন শ্রীদেবীর স্বামী বনি কাপুর। তবে সবকিছু পেরিয়ে স্ত্রীর মরদেহ দেশে নিয়ে আসতে পেরেছেন তিনি, শেষ করেছেন সব দায়-দায়িত্ব। কিন্তু শ্রীদেবীর মৃত্যু নিয়ে নতুন মোড় এসেছে। বনি কাপুরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে শ্রীদেবীর পরিবার।
চাচা বেণুগোপাল রেড্ডি শ্রীদেবীর মৃত্যুর জন্য স্বামী বনি কাপুরকে দুষলেন। এর আগে, বলিউডের জোর গুঞ্জন, চেন্নাইয়ের বাংলো শ্রীদেবীর বোন শ্রীলথাকে লিখে দিয়ে তার মুখ বন্ধ করিয়ে রেখেছেন বনি কাপুর।
এবার শ্রী’র চাচা বেণুগোপালের দাবি, ‘শ্রীদেবীকে মানসিক যন্ত্রণা দিয়ে মেরেছেন বনি কাপুর। ওর মনের মধ্যে অনেক কষ্ট ছিল। শেষ কিছু সিনেমার প্রযোজনা করে প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হয়েছিল বনি কাপুরের। সেই ক্ষতি পূরণ করতেই শ্রীদেবীর সম্পত্তিও বিক্রি করে দিতে দিয়েছিলেন বনি। তাই শ্রীদেবীর মনের মধ্যে অনেক কষ্ট ছিল, জন্মেছিলো মতানৈক্য। তবুও দুই মেয়ের দিকে তাকিয়ে সবসময় হাসি মুখে থাকতো সে। এমনকি সেই আর্থিক ক্ষতি সামাল দিতেই শ্রীদেবীকে আবারও অভিনয় জগতে ফিরে আসতে হয়েছিল।’
Advertisement
ভারতীয় পত্রিকার খবর, শ্রীদেবী যে নিজেকে সুন্দর রাখতে বহুবার প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছিলেন সেকথা স্বীকার করেছেন তার চাচা বেণুগোপাল রেড্ডি। পাশাপাশি সম্পত্তি নিয়ে শ্রীদেবী ও তার বোন শ্রীলথার দীর্ঘদিনের লড়াইয়ের কথাও জানান তিনি। বলেন, এই সম্পত্তি নিয়েই দীর্ঘদিন দুই বোনের মধ্যে কথা বন্ধ ছিল। শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর সেই সম্পত্তি শ্রীলথাকে ফিরিয়ে দেয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে তাকে চুপ করানো হয়েছে।
রেড্ডি আরও জানান, শ্রীদেবীর মা কোনোদিনই বনি কাপুরকে পছন্দ করতেন না। তিনি চাননি যে তার মেয়ে বনি কাপুরকে বিয়ে করুক। যে কারণে বহুবার তার বাড়িতে এলে তিনি বনি কাপুরের সঙ্গে ঠিকভাবে কথা পর্যন্ত বলতেন না। কিন্তু ঘটনাচক্রে শ্রীদেবী সেই বনি কাপুরকেই বিয়ে করল। এরপর বিয়ের পর তার সৎ ছেলে অর্জুন কাপুরের মন পেতে অনেক কাঠখড় পোহাতে হয়েছিল শ্রীদেবীকে। এমনকি এ নিয়ে কিছু আত্মীয় স্বজনদের কাছেও তাকে অনেক অপমান সহ্য করতে হয়। সেসময় তার দুই সন্তান জাহ্নবী ও খুশির ভবিষ্যৎ নিয়েও শ্রীদেবী উদ্বিগ্ন ছিলেন বলেও দাবি করেন তিনি।
শ্রীদেবীর চাচার কথার সঙ্গে মিল পাওয়া গেছে শ্রীদেবীকে নিয়ে করা নির্মাতা রামগোপাল ভার্মার অভিযোগেরও। তিনিও শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর থেকেই বলে আসছিলেন, এই অভিনেত্রী নানা কারণে মনোকষ্টে ভুগতেন। মৃত্যুর আগের সময়টা ভালো যাচ্ছিলো না তার। হুট করেই এই মৃত্যু অনেক রহস্যজনক। এসবের তদন্তের প্রয়োজন আছে।
পাশাপাশি শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর অদ্ভুতভাবে শ্রীদেবীর বোনসহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নীরবতায় নতুন করে সন্দেহের প্রশ্ন উড়ে বেড়াচ্ছে বি-টাউনের আকাশে।
Advertisement
এলএ