দেশজুড়ে

মোটরযান অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করা হবে

সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রেখে ১৯৮৩ সালের মোটরযান অধ্যাদেশকে পরিবর্তন করে চলতি বছরে আইনে পরিণত করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, বর্তমান প্রচলিত আইনের ফাঁকে অপরাধীরা শাস্তি ভোগ না করে ফাঁক-ফোকর দিয়ে বেরিয়ে যায়। আর দুর্ঘটনার পরে যেসব তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় সেগুলো বাস্তবে কোন কাজে আসেনা। শুক্রবার বিকেলে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জে শিমরাইল মোড় পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী। সেতুমন্ত্রী বলেন, এ বারের ঈদযাত্রা ভালো হলেও ঈদের পরে সড়কের অবস্থা ভালো থাকলেও যে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে এগুলোকে সড়ক দুর্ঘটনা বলবো না, এগুলো রোড ক্র্যাশ। বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্তে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কক্সবাজার থেকে সৈয়দপুর পর্যন্ত একজন চালকের পক্ষে গাড়ি চালাতে গেলে এ ধরণের ঘটনাকে আমি স্বাভাবিক বলবো। কারণ চালক তখন ঘুমে ঢুলুঢুলু অবস্থায়, এই অবস্থায় দুরপাল্লায় একজন চালক রাখা হয়, সেও তো একজন মানুষ, সেও তো ক্লান্ত ও পরিশ্রান্ত হবে এবং সেটাই হয়েছে। বেপরোয়া গাড়ি চালাচ্ছিল। এ পর্যন্ত সড়কের কারণে কোথাও কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি।ঝুঁকিপূর্ণ বাক প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সড়ক-মহাসড়কে ১৪৪টি দুর্ঘটনা প্রবণ বাকগুলোকে চিহ্নিত করে সেগুলোর জন্য ১৬৫ কোটি টাকার প্রজেক্ট হাতে নেয়া হয়েছে। যার ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। বাকিগুলোর দরপত্র সম্পন্ন হয়েছে। এতে হতাশ হওয়ার কোন কারণ নেই। তিনি আরো বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী অটোরিকশা ও নসিমন। এগুলোর বিরুদ্ধে আগামী ১ আগস্ট থেকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপদ নির্বাহী প্রকৌশলী রৌশনী এ ফাতেমা, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জাকির আলম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী সোহেল মাহমুদ, তারিক হোসেনসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। হোসেন চিশতী সিপলু/এআরএ/পিআর

Advertisement