রাজধানীর মিরপুর ১২ নম্বরে ইলিয়াস আলী মোল্লা বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৮ হাজার ঘর পুড়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ডে জীবন বাঁচাতে ঘর ছেড়ে সবাই বেড়িয়ে আসলেও জীবনের অর্জিত সম্পদ বা প্রয়োজনীয় কিছুই বের করতে পারেননি। জীবনযুদ্ধে এ অকল্পনীয় অমানিশায় সব হারিয়ে হিশেহারা ইলিয়াস আলী মোল্লা বস্তিবাসী।
Advertisement
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিফিল ডিফেন্স অধিদফতরের ডিউটি অফিসার মাহফুজুর রহমান জানান, সোমবার ভোর ৪টার দিকে মিরপুর ১২ নম্বরে ইয়াসিন আলী মোল্লা বস্তিতে আগুন লাগে। ভয়াবহ এ আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ২১ ইউনিট। প্রথমে ১৩টি ইউনিট পরে আরও ৭টি ইউনিট বাড়ানো হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় আরও ২টি ইউনিট যোগ হয়। আগুন নেভাতে স্থানীয়রাও কাজ করেন।
সোমবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, মিরপুর-১২ নম্বর এ বস্তিতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। চারদিকে মানুষের কান্নার আওয়াজ ও ছুটাছুটি। আগুনে দিশেহারা মানুষগুলোর নিরুপায় আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠছে মিরপুরের আকাশ।
সামুছুল নামে একজন বস্তিবাসী আহাজারি করে বলেন, ভোর রাতে বাচ্চার কান্নার আওয়াজে ঘুম ভাঙে। প্রথমে শুধু ধোয়া দেখেছি। এরপর কোনো রকমে ঘর ছেড়ে বাইরে বেড়িয়েছি। এখন আর কিছুই নেই। জমানো গোছানো সংসার নিমিষেই শেষ।
Advertisement
কয়েক দিনেই জীবনটা এমনটা হবে বুঝতে পারেননি ফরিদপুরের আলেয়া। গত কয়েক দিন আগেই স্বামীর সঙ্গে ঢাকা এসেছেন। সংসারও নতুন। টাকা বাঁচাতেই ইলিয়াস আলী মোল্লা বস্তির ভাড়া বাসায় থাকতে শুরু করেন। গার্মেন্টসকর্মী স্বামীর বিয়ের সময় কেনা নতুন পোশাক আর ফার্নিচারও পুড়ে ছাই। এসব ভেবে যেন কান্না থামছে না তার।
দেলওয়ার হোসেন নামের একজন বলেন, বস্তিতে অনেক বছর থাকি। এমন করে সব শেষ হয়ে যাবে ভাবিনি। কমপক্ষে ৮ হাজার ঘর-বাড়ি পুড়ে গেছে।
জেইউ/আরএস/জেআইএম
Advertisement