দেশজুড়ে

বাল্যবিবাহের অনুষ্ঠান পণ্ড করে দিলেন ইউএনও

নীলফামারীর ডিমলায় শুক্রবার বাল্যবিবাহের একটি অনুষ্ঠান পণ্ড করে দিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম।  দুপুরে বিয়ে বাড়িতে রান্না হয়েছে, প্যান্ডেল সাজানো হয়েছে, আসবে বর, বাজবে সানাই, বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন ঠিক এই মুহূর্তে হাজির হলেন ইউএনও। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে নীলফামারীর ডিমলা সদর ইউনিয়নের আদর্শপাড়া গ্রামে। অপরদিকে বরের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন ইউএনও।জানা যায়, ডিমলা সদর ইউনিয়নের আদর্শপাড়া গ্রামের হরিদাশ চন্দ্র রায়ের কন্যা ও ডিমলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী ডলি রানীর (১৪ বছর ৬ মাস) সঙ্গে ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ি নিমজখানা গ্রামের অধির চন্দ্র রায়ের পুত্র রতন রায় (১৭) বিয়ের আয়োজন করে।  ডলি রানীর জন্ম তারিখ ২০০০ সালের ২০ নভেম্বর হলেও ডিমলা সদর ইউপি চেয়ারম্যান রফিজুল ইসলাম জন্মনিবন্ধন সনদপত্রে মেয়েটি বয়স দেখিয়েছে ১৯ বছর ৩ মাস।  বৃহস্পতিবার রাতে ডিমলার হিন্দু নিকাহ রেজিস্ট্রার বিপুল চন্দ্র রায় মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে ডলি রানী ও রতন রায়ের বিয়ে রেজিস্ট্রি করে দেয়।  ডলি রানী জানায়, আমার বিয়েত রেজিস্ট্রি হয়েছে বিয়ে বন্ধ করলে আপনারা বলেন আমার কি হবে।  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম জানায়, মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ হওয়ার পূর্বে কোনো বিবাহ হবে না।  তিনি পুলিশের উপস্থিতিতে বিয়ের অনুষ্ঠানের প্যান্ডেল খুলে ফেলেন।  তিনি বলেন গোপনে বিয়ে দেয়া হলে মোবাইল কোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এলাকাবাসী অভিযোগ করেন ইউপি চেয়ারম্যানের জন্মনিবন্ধন সনদপত্রে বয়স বাড়ানো হয়েছে ও হিন্দু নিকাহ রেজিস্ট্রারে বয়স না হওয়ার পরও কিভাবে বিয়েটি রেজিস্ট্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা করার দাবি করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে।  ঘটনার পর হিন্দু নিকাহ রেজিস্ট্রার বিপুল চন্দ্র রায় গা ঢাকা দিয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, হিন্দু নিকাহ রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং কিভাবে জন্মসনদপত্র বয়স বাড়ানো হয়েছে বিষয়টি তদন্ত করা হবে।জাহেদুল ইসলাম/এমএএস/পিআর

Advertisement