লাইফস্টাইল

এই সময়ে শিশুর যত্নে কিছু সতর্কতা

আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সময় সংক্রমণজনিত রোগ বাড়ে। ভাইরাল ডায়েরিয়া, শ্বাসকষ্ট, ভাইরাল গ্যাসট্রাইটিসের(বমি হবে) সমস্যা শিশুকে অসুস্থ করে তোলে। সেই সঙ্গে সর্দি, কাশি, জ্বরের হানা তো রয়েছেই।বেশিরভাগ শিশু হাম ও চিকেন পক্সের সমস্যায় ভুগে থাকে। এই রোগে প্রথমে সর্দি-কাশি, পরে জ্বর, তার পরে চোখ লাল হয়ে ওঠা, সব শেষে গায়ে দানা-দানা লাল র্যাশ দেখা যায়।

Advertisement

আরও পড়ুন : শিশু স্কুলে যাওয়ার সময়

হাম ও চিকেন পক্সের সূক্ষ্ম পার্থক্যও রয়েছে। হাম হলে কপালে প্রথমে র্যাশ দেখা যায়। আর পক্সের ক্ষেত্রে সারা শরীরে র্যাশ দেখা যায়। প্রথম পর্যায়ে দুই রোগে জ্বর হলে সাধারণত প্যারাসিটামল দেয়া হয়। তবে হামে আক্রান্ত শিশুর ক্ষেত্রে শারীরিক নানা জটিলতা তৈরি হয়। হাম সেরে গেলেও অপুষ্টিতে ভোগা শিশুরা নিমুনিয়া, ডায়ারিয়া, মেনিনজাইটিস সঙ্গে ফের বেশি জ্বরে আক্রান্ত হয়। অনেক মেনিনজাইটিসে শিশুদের খিচুনিও দেখা যায়। প্রতিটি রোগের চিকিৎসা আলাদা। তাই গোড়াতেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

হামের টিকা সব সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাওয়া যায়। তবে চিকেন পক্সের টিকা সব সরকারি হাসপাতালে না-ও মিলতে পারে। সে ক্ষেত্রে ওষুধের দোকান ভরসা। এসব রোগ থেকে বাঁচতে রাতে শিশুকে এসিতে না রাখা ভালো।

Advertisement

চড়া রোদ এড়িয়ে চলা, ফলের রস-ওআরএস খাওয়া, পর্যাপ্ত পানি পান আবশ্যক। ৬ মাস পর্যন্ত শিশুরা মাতৃদুগ্ধ পান করায় পানির চাহিদা কম থাকে। তবে ৬ মাস বয়সের পরে ১০ কেজি ওজনের শিশুকে দিনে অন্তত এক লিটার পানি খাওয়াতে হবে। যতবার শক্ত খাবার খাবে, ততবার পানি খাওয়াতে হবে।

আরও পড়ুন : নবজাতকের যত্নে কিছু সতর্কতা

বাইরের রঙিন শরবত, আইক্রিম একেবারে চলবে না। ঝাল-তেল-মশলা ছাড়া মাছ, ডিম, সবজি রাখতে হবে খাদ্যতালিকায়।

খাবার বাছাইয়ে সতর্কতার পাশাপাশি শিশুর পরনে চাই হালকা সুতির জামা। গরম পড়তেই মশার উপদ্রব বাড়ছে। তাই মশাবাহিত রোগ যেমন ডেঙ্গু, এনসেফ্যালাইটিস থেকে শিশুকে দূরে রাখতে হবে। তাই দিনে-রাতে মশারির ব্যবহার জরুরি।

Advertisement

আনন্দবাজার/এইচএন/জেআইএম