পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের ছুটি শেষে রাজধানী ঢাকায় ফের পারি জমাচ্ছেন কর্মজীবী মানুষেরা। শুক্রবার সকাল থেকেই রাজধানীতে ফেরা মানুষের ভিড়ে সদরঘাটের পন্টুনে যেন তিল ধরার জায়গা নেই। সরকারি ছুটি গত রোববার শেষ হলেও অনেকেই বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ছুটি নিয়ে শুক্রবার ঢাকায় ফেরার সিদ্ধান্ত নেয়। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) যুগ্ম পরিচালক সাইফুল হক বলেন, ‘ঈদের পর নৌ-পথে শুক্রবারই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক যাত্রী ঢাকায় ফিরছেন। শুক্রবার লঞ্চ এবং লঞ্চঘাটগুলোতে অধিক চাপ পড়তে পারে, তা আমরা আগেই অনুমান করেছিলাম। এ কারণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেমন জোরদার করা হয়েছে, তেমনি সতর্ক অবস্থাও জারি ছিল।’সাইফুল হক সতর্কতার কথা বললেও বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। প্রায় প্রতিটি লঞ্চই অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে ঘাটে ভিরতে দেখা যায়। লঞ্চের ছাদে যাত্রী ওঠানামায় সিঁড়ি বা মই ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও, প্রতিটিতেই মই বা সিঁড়ি ব্যবহার করতে দেখা যায়। ঝালকাঠী থেকে ফিরছিলেন রওনক জাহান নিপা। একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে শিক্ষকতা করেন তিনি। নিপা জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রতি ঈদের আগে-পরে এমন ভিড় হয়ে থাকে। তবে আজকের ভিড় যেন একেবারেই অন্যরকম। লঞ্চে ওঠার সময়-ই ভয় পেয়েছিলাম। অতীত অভিজ্ঞতাও আমাদের ভালো না। তবুও আসতে হয়। শনিবার থেকেই স্কুলের ক্লাস শুরু। ঠিকমত আসতে পেরেছি, এটিই শুকরিয়া।’পন্টুনে দাঁড়িয়ে থাকা আরেক যাত্রী পলাশ রহমান বলেন,‘ জীবনের আনন্দ খুঁজতে হলে ঝুঁকি একটু থাকবেই। অনেক কষ্টে বাড়ি গিয়েছিলাম বটে, কিন্তু প্রিয়জনদের কাছে পেয়ে সব কষ্ট দূর হয়ে যায়। নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা আর কাজের টানে ঢাকায় ফেরা দুটোই জীবনঘনিষ্ঠ। তবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভাবে নদী পারাপারে সরকার জনগণ উভয়কেই সতর্ক হওয়া উচিত।’এমভি টিপু লঞ্চের ব্যবস্থাপক ফারুক হোসেন বলেন, ‘ঈদের ছুটির পর শুক্রবারই যাত্রীদের চাপ বেশি পড়েছে। ৪৫ টি রুটের জন্য ১৭০টি লঞ্চ চলাচল করে থাকে। লঞ্চের সংখ্যা সীমিত হলেও যাত্রীর সংখ্যা তো নির্ধারণ করা যায় না। এরপরেও আমরা যাত্রীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়ার চেষ্টা করছি। এখানে সরকারের তদারকি টিম আছে। তারাও আমাদের সহযোগিতা করছে।’ এএসএস/এসএইচএস/পিআর
Advertisement