জাতীয়

ইউএস বাংলার ২য় কাস্টমার সাকসেস সামিট অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে আগত প্রায় ৮০০ ট্রাভেল এজেন্ট ও কর্পোরেট অফিসের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধিদের নিয়ে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ২য় 'কাস্টমার সাকসেস সামিট-২০১৮' অনুষ্ঠিত হয়েছে।

Advertisement

শনিবার কক্সবাজারের লংবিচ হোটেলের বলরুমে এ সম্মেলন শুরু হয়।

এ ধরনের মিলনমেলা বাংলাদেশ এভিয়েশনের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করলো ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স।

ইউএস বাংলার জিএম (মার্কেটিং সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন) কামরুল ইসলাম জানান, সামিটের উল্লেখযোগ্য অংশের মধ্যে রয়েছে বেস্ট সেলার অ্যাওয়ার্ড, ট্রাভেল ও কর্পোরেট পার্টনারদের সঙ্গে ইউএস-বাংলার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে ফানুস ফেস্টিভালসহ আরও অনেক ইভেন্ট ছিল এই সামিটে।

Advertisement

বাংলাদেশসহ ওমান, কাতার, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভারত ও নেপালের ট্রাভেল পার্টনারদের মধ্যে ২০১৭ সালে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বেস্ট অব দ্য বেস্ট সেলার অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত হয়েছে চট্টগ্রামের 'বি ফ্রেশ ট্রাভেলস'। এছাড়া ইউএস বাংলার অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রাভেল এজেন্টদের মধ্যে যারা বেস্ট সেলার নির্বাচিত হয়েছেন তাদের মধ্যে সম্মাননা স্মারক ও সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়।

'ফ্লাই ফাস্ট-ফ্লাই সেফ' স্লোগান নিয়ে ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই ৭৬ আসন বিশিষ্ট দুটি ড্যাশ ৮-কিউ ৪০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে ঢাকা-যশোর ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করা ইউএস বাংলা। অভ্যন্তরীণ সকল রুটসহ সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর, ব্যাংকক, দোহা, মাস্কট, কাঠমন্ডু ও কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। বর্তমানে ইউএস বাংলা বিমান বহরে চারটি ড্যাশ ৮-কিউ ৪০০ ও চারটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট রয়েছে। ২০১৮ সালের মধ্যে আরও তিনটি ড্যাশ ৮-কিউ ৪০০, তিনটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এবং দুইটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর এয়ারক্রাফট বিমান বহরে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছ। খুব শিগগিরই বাংলাদেশের প্রথম বিমানসংস্থা হিসেবে ইউএস বাংলা চীনের অন্যতম বাণিজ্যিক নগর গুয়াংজুহ রুটে ফ্লাইট পরিচলানা শুরু করতে যাচ্ছে। ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স বর্তমানে সপ্তাহে প্রায় ৩০০টি ফ্লাইট পরিচালনা করে যাত্রা শুরুর পর থেকে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে ৩৫ হাজার ফ্লাইট পরিচালনা করছে যা বাংলাদেশের এভিয়েশন ইতিহাসে একটি রেকর্ড।

ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স যাত্রা শুরুর পর থেকে ৯৮ দশমিক ৭ শতাংশ অনটাইম ফ্লাইট পরিচালনা, আন্তর্জাতিক মানের ইন ফ্লাইট সার্ভিস, যা যাত্রী সাধারণের কাছে নির্ভরযোগ্য এয়ারলাইন্স হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ইতোমধ্যে প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশন (পাটা) ও  বিমান চলাচল বিষয়ক অন্যতম পত্রিকা দি বাংলাদেশ মনিটর কর্তৃক সেরা এয়ারলাইন্স স্বীকৃতি পেয়েছে এয়ারলাইন্সটি। দেশীয় বিমান পরিবহন খাতে ইউএস বাংলাই একমাত্র কোম্পানি যা আইএসও ৯০০১:২০০৮ সার্টিফাইড এয়ারলাইন্স। এটি আমেরিকার নিউইয়র্ক সিটির ডিভিশন অব কর্পোরেশন এর একমাত্র তালিকাভুক্ত বাংলাদেশি এয়ারলাইন্স কোম্পানি। আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা রয়েছে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ফ্রিকোয়েন্ট প্রোগ্রাম 'স্কাই স্টার' সহ আরও অনেক সেবাধর্মী ও সময়োপযোগী সার্ভিস। স্কাই স্টার কার্ড ব্যবহারকারীগণ নির্ধারিত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট সুবিধা পেয়ে থাকেন।

যাত্রীদের বেশ কয়টি সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে ইউএস বাংলা যা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে এভিয়েশন শিল্পে। উল্লেখযোগ্য সার্ভিসগুলোর মধ্যে অন্যতম- আন্তর্জাতিক রুটের বিজনেস ক্লাসের যাত্রীদের জন্য রয়েছে পিক-ড্রপ সার্ভিস, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট অবতরণের পর ১০ মিনিটে ল্যাগেজ ডেলিভারি, ওয়েজ অার্নার্সদের জন্য বিমানবন্দরে প্রবাস সহায়তা ডেস্ক, সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য ২০ শতাংশ মূল্যছাড়, সামরিকবাহিনীর কর্মকর্তাদের জন্য ১০ শতাংশ মূল্যছাড়সহ বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ইএমআই আরও নানাবিধ যাত্রী সুবিধা।

Advertisement

কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত কাস্টমার সাকসেস সামিট অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল, ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহম্মাদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনিয়ট প্রিফনটেইন, আটবের সভাপতি মঞ্জুর মোর্শেদ মাহবুব। এছাড়াও বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্ট ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ এতে উপস্থিত ছিলেন।

এএস/এমবিআর/জেআইএম