ঢাকা অ্যাটাক ছবিটির মুক্তি পাওয়া পাঁচ মাস হয়ে গেছে তবু এখনো আলোচনায় আছে ছবিটি। ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর ১২৩টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ছবিটি। এখনো হলে চলছে ছবিটি। চলতি সপ্তাহেও সারা দেশে পাঁচটি হলে মুক্তি পেয়েছে ঢাকা অ্যাটাক। এখন প্রদর্শিত হচ্ছে- শাহীন (ঢাকা) চম্পাকলি (টঙ্গী), বনানী (কুষ্টিয়া), শাপলা (রংপুর) ও রাজ (কুলিয়ারচর) প্রেক্ষাগৃহে। এছাড়াও দেশের বাইরে এখনও যুক্তরাষ্ট্রে চলছে ছবিটি। এর আগে মুক্তির প্রথমদিন থেকে টানা এতদিন বাংলাদেশের কোনও ছবি দেশ-বিদেশের প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হয়নি বলে জানা গেছে।
Advertisement
ছবির পরিচালক দীপংকর দীপন বলেন, ‘ছবি মুক্তির পর থেকেই এটি প্রদর্শিত হচ্ছে। তবে মাঝে এক সপ্তাহ দেশের প্রেক্ষাগৃহে বন্ধ ছিল। কিন্তু সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের হলে এটি চলেছে। দেশ ও বিদেশ ধরলে এখন পর্যন্ত এটি টানা চলছে। এমনটা সম্ভব হয়েছে দর্শকদের ভালোবাসার কারণে।’
জানা গেছে, দেশের সবচেয়ে ব্যবসাসফল ছবি হিসেবে ধরা হয় ‘বেদের মেয়ে জোসনা’কে। তবে ছবিটি মুক্তির কিছুদিন পর প্রদর্শনে অল্প সময়ের একটা বিরতি ছিল। এর পর অনেক দিন ধরে হলে চলে ছবিটি। এক সময় দেশের অন্যতম সফল ছবিতে পরিণত হয় ‘বেদের মেয়ে জোসনা’।
ঢাকা অ্যাটাক ছবিটিও এগুচ্ছে সেই পথেই। এটি দেশের প্রথম পুলিশ অ্যাকশন থ্রিলার। বোম নিষ্ক্রিয় ইউনিটের সদস্য, পুলিশ কমিশনার, সোয়াত, গোয়েন্দা কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ সব ধরনের চরিত্রই আছে ছবিটিতে। অ্যাকশন দৃশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে পুলিশের ব্যবহৃত ৪৫ পাউন্ড ওজনের বোমা স্কোয়াডের বিশেষ পোশাক ও পাঁচ কিলোগ্রাম ওজনের হেলমেট।
Advertisement
দীপংকর দীপন পরিচালিত প্রথম ছবি ‘ঢাকা অ্যাটাক’। একদল চৌকস পুলিশের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান নিয়ে নির্মান করা হয়েছে এটি। এতে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ, মাহিয়া মাহি, এবিএম সুমন, শতাব্দী ওয়াদুদ, আলমগীর, আফজাল হোসেন, কাজী নওশাবা আহমেদ, সৈয়দ হাসান ইমাম, শিপন মিত্র এবং খল চরিত্রে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি তাসকিন রহমান।
ছবিটির মূল ভাবনা ও কাহিনি রচনা করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি সানী সানোয়ার। ‘ঢাকা অ্যাটাক’ যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে স্প্ল্যাশ মাল্টিমিডিয়া, ঢাকা পুলিশ পরিবার কল্যাণ সমিতি লি. ও থ্রি-হুইলারস লি.।
এমএবি/জেআইএম
Advertisement