গত বুধবার থেকে শুরু হয়েছে চরমোনাই-এর ফাল্গুনের ৩ দিনব্যাপী বার্ষিক মাহফিল। আজ আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো এ মাহফিল। পীর সাহেব চরমোনাই এ মোনাজাত পরিচালনা করেন।
Advertisement
আজ ফজরের নামাজের তিনি মাহফিলে অংশগ্রহণকারী মুসল্লিদের উদ্দেশে হেদায়েতি বয়ান পেশ করেন। বয়ানে তিনি দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করে পরকালের চিরস্থায়ী জীবনের প্রস্তুতির নসিহত করে বলেন, এ দুনিয়া থাকার জায়গা নয়। তাই কোনো বুদ্ধিমান ব্যক্তি দুনিয়ার মোহে পড়তে থাকতে পারে না।’
তিনি আরো বলেন, দুনিয়া হলো আখেরাতের কামাইয়ের জায়গা। এখান থেকে পরকালের জীবনকে সাজাতে যারা চেষ্টা যত বেশি হবে, পেরকালে সে ততই সফলতা লাভ করবে।
তিনি বলেন, আপনারা বহু দূর থেকে অনেক কষ্ট স্বীকার করে এসেছেন; খেয়ে না খেয়ে চরমোনাইর এ ময়দানে অবস্থান করেছেন। আপনাদের আশা এবং কষ্ট তখনই সফলকাম হবে যখন আপনার দৈনন্দিন জীবনের আমলগুলো সুন্দরভাবে পালন হবে।
Advertisement
বয়ানে তিনি বলেন,’দুনিয়া চিরস্থায়ী থাকার জায়গা নয়, তাই কোনো বুদ্ধিমান দুনিয়ার মোহে পড়তে পারে না। দুনিয়া হলো আখেরাত কামাইয়ের জায়গা। এখানে থেকে যে তার পরলৌকিক জীবনকে যতবেশি সুন্দর করার চিন্তায় ব্যপৃত থাকবে সে ততোটাই সফল’।
চরমোনাইয়ের পীর বলেন,’বহুদূর থেকে আপনারা শত কষ্ট করে এসেছেন এবং খেয়ে না খেয়ে তিনদিন এ ময়দানে থেকেছেন। আপনার এ কষ্ট তখনই সফল হবে যখন আপনি এ তিনদিনে করা আমলগুলো ও শ্রবণ করা বয়ানগুলো নিজের জীবনে কাজে লাগাতে পারবেন’।
বয়ান শেষে তিনি অসংখ্য মুসলিম জনতাকে নিয়ে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন। মোনাজাতে তিন দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনায় আল্লাহর কাছে বিশেষ প্রার্থনা করেন।
মোনাজাতের সময় কীর্তনখোলার নদীর তীর আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে। রোনাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে মাহফিলের ময়দান। অবশেষে তিনি মুনাজাতের মাধ্যমে ৩ দিনব্যাপী ফাল্গুনের এ বার্ষিক মাহফিলের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
Advertisement
এমএমএস/এমএস