জাতীয়

দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ বিশ্বে রোলমডেল : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় সর্বস্তরের জনগণের সচেতনতা এবং মাঠপর্যায়ে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়সহ অন্যান্য দুর্যোগের বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত ভয়াবহ বন্যা, ঘূর্ণিঝড়-সিডর, আইলা, ভুমিধস, বজ্রপাত, শৈত্যপ্রবাহ ইত্যাদি দুর্যোগ আমরা সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছি। উপকূলীয় জেলাগুলোয় ৫৫ হাজার ২৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক এবং ৬২ হাজার প্রশিক্ষিত নগর স্বেচ্ছাসেবক গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছ। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট শহরে প্রায় ৩২ হাজার নগর স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। দুর্যোগের আগাম সতর্কবার্তা ও দৈনন্দিন আবহাওয়া বার্তা জানতে মোবাইলে ১০৯০ নম্বরে (টোল ফ্রি) আইভিআর পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।

Advertisement

১০ মার্চ শনিবার ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস ২০১৮’ উপলক্ষে শুক্রবার এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ এখন রোলমডেল। আমাদের রয়েছে সুদীর্ঘ অনুশীলন ও অভিজ্ঞতা। আমাদের অভিজ্ঞতা ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দুর্যোগের নতুন ঝুঁকি প্রতিরোধ ও বিদ্যমান ঝুঁকি হ্রাস করে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আমি সরকারের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি সংস্থা, গণমাধ্যমসহ সর্বস্তরের জনগণকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানাই।

বিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘জানবে বিশ্ব জানবে দেশ, দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত বাংলাদেশ’। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বিগত ৯ বছরে সারাদেশে ৩ হাজার ৮৫১টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, ২৫৫টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র এবং ১৭ হাজার ৫০০টি ব্রিজ/কালভার্ট নির্মাণ করেছে। এছাড়া ২২০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে এবং ৪২৩টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র ও ৬৬টি ত্রাণগুদাম নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।দেশব্যাপী মুজিব কিল্লা নির্মাণ, ৩ হাজার ১০০ কিলোমিটার টেকসই গ্রামীণ রাস্তাসহ নানাবিধ গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। দুর্যোগে ব্যবহারের জন্য ১০ হাজার তাঁবু ক্রয় করা হয়েছে। ভূমিকম্প মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় উদ্ধার সরঞ্জাম ক্রয় করা হয়েছে। একটি কার্যকর ও শক্তিশালী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তোলার লক্ষে সময়োপযোগী আইন, বিধি ও পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। জেডএ

Advertisement