প্রথম যুব গেমস। দেশের খেলাধুলায় নতুন সংযোজন। আয়োজনের দিক দিয়ে বাংলাদেশ গেমসের পরই যুব গেমস। সে গেমসের প্রথম আসরকে স্মরণীয় না করলে কী হয়? তাই তো গেমসের মর্যাদা বাড়াতে চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। আর পুরো অনুষ্ঠানকে জাঁকজমক করার প্রস্তুতি চলছে আয়োজক বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের। শনিবার সন্ধ্যায় গেমসের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Advertisement
উদ্বোধনীর মূল অনুষ্ঠান ১ ঘন্টা ৫০ মিনিটের। পৌনে ৭ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন গ্রহণের পর জাতীয় সংগীতের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা। অবশ্য তার আগে ৩০ মিনিটের অনুষ্ঠানপূর্ব আয়োজনও থাকবে। সাড়ে ৫ টা থেকে ৬ টা পর্যন্ত চলবে ডিজে শো এবং বাংলাদেশের খেলাধুলার বিভিন্ন সাফল্য নিয়ে একটি প্রামাণ্য চিত্র।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দর্শকের জন্য উম্মুক্ত। তাদের জন্য নির্দিষ্ট করা থাকবে গ্যালারি। অনুষ্ঠানের সিডিউল অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গেমস উদ্বোধন করবেন সন্ধ্যা ৭ টা ২১ মিনিটে। তার আগে বাংলাদেশ যুব গেমসের প্রথম পর্ব নিয়ে থাকবে একটি প্রদর্শনী। এরপর মাঠে প্রবেশ করবে বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের ক্রীড়াবিদরা। এই প্রথম কোনো গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ক্রীড়াবিদদের বাইরে দাঁড় করিয়ে না রেখে তাদের জায়গা দেয়া হবে গ্যালারিতে।
অতিথিদের বক্তব্য ও প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর জ্বালানো হবে গেমসের মশাল। কমনওয়েলথ গেমস ও এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী শ্যুটার আসিফ হোসেন খান প্রজ্বলন করবেন গেমস মশাল। মশাল প্রজ্বলের পরই মাঠ ত্যাগ করবেন ক্রীড়াবিদরা। তখন বাজবে থিম সং।
Advertisement
মাসকাট প্যারেট, নাচ-গানের মাধ্যমে পারফরমাররা ফুটিয়ে তুলবেন দেশের নানা ঐতিহ্য। বাংলাদেশের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত নিয়ে থাকবে বিভিন্ন প্রদর্শনী। অনুষ্ঠান শেষ হবে ৭ মিনিটের লেজার শো, পাইরো ও আতশবাজির মধ্যে দিয়ে।
আরআই/এমএমআর/পিআর