জাতীয়

কোটাবিরোধীরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছে

সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে দেশকে অস্থিতিশীল এবং সরকারকে বিব্রত করার অপচেষ্টা করছে একটি বিশেষ মহল। কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী বক্তব্য-বিবৃতি রাখা হচ্ছে, যা সহ্য করা হবে না।

Advertisement

মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির এবং সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নয়নের আহ্বানে আজ (বৃহস্পতিবার) দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তারা একথা বলেন।

তারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে অতীতে অনেক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানেও এ ষড়যন্ত্রের ধারা অব্যাহত আছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও তাদের উত্তরসূরী বেঁচে থাকতে বাংলার মাটিতে ষড়যন্ত্রকারীদেরকে সফল হতে দেয়া হবে না।

সব সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটার পদ পূরণ সংক্রান্ত আদেশ সংশোধনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তারা বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কোটা শিথিলের এ সিদ্ধান্ত গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। তারা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা এমনিতেই নানা ছলচাতুরী করে বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।

Advertisement

মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও তাদের নাতি-নাতনীদের কোটায় অন্য কাউকে নিয়োগ দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী উল্লেখ করে তারা বলেন, এ সিদ্ধান্তের ফলে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অসম্মান করার আয়োজন করা হয়েছে। তারা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অন্য কাউকে নিয়োগ দেয়া হলে তা হবে অত্যন্ত বেদনাদায়ক ঘটনা।

তারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধার উত্তরসূরীরা অবশ্যই মেধাবী। তারা মেধাবী বলেই অন্যান্যদের সাথে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। স্বাধীনতারবিরোধীদের প্রেতাত্মারা তাদেরকে ‘মেধাহীন’ তকমা লাগানোর অপচেষ্টা করে কোটা বাতিলের ষড়যন্ত্র করছে।

তারা বলেন, কোটার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে দায়ের করা রিট ইতোমধ্যেই খারিজ হয়ে গেছে। ফলে কোটা সংস্কার বা শিথিলের আইনি কোন ভিত্তি নেই।

এসএইচএস/জেআইএম

Advertisement