বাবা-মা, ভাই-বোনসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে আসা কর্মজীবীরা সরকারি ও নিজস্ব ছুটি শেষ করেছেন। শনিবার ও রোববার অফিস করতেই হবে। তাই মানুষ জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রিয়জনদের ছেড়ে আবারো দূর-দূরান্তে শেষ মুহূর্তে কর্মস্থলে ফিরছেন। তাই চাঁদপুরের বিভিন্ন লঞ্চঘাটগুলোতে হাজার হাজার যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। লঞ্চ না পেয়ে অনেকে বাড়ি ফিরে গেছেন। এসময় যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, লঞ্চে দ্বিগুণ ভাড়া আদায়, লঞ্চের সময়-সূচির বিপর্যয়, যাত্রী হয়রানি, চাঁদপুর রুটের লঞ্চ রেখে অন্যস্থানের লঞ্চ চলাচল এবং যাত্রী নিয়ে টানা হেঁচড়াসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা। তারপরও ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষ বৃষ্টিতে শত কষ্ট ও দুর্ভোগ শিকার করে কর্মস্থলে ফেরার চেষ্টায় চাঁদপুর লঞ্চঘাটে অপেক্ষার প্রহর গুণছেন। চাঁদপুর নদী বন্দর কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ভিড় গত বছরের তুলনায় এবার দ্বিগুণ হওয়ায় লঞ্চগুলো নির্দিষ্ট সময়ের ১ থেকে ২ ঘণ্টা আগে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যাত্রীরা নিরাপদে ঢাকা যেতে পারেন সেজন্য শুক্রবার ও শনিবার বেশ কয়েকটি স্পেশাল লঞ্চ দেওয়া হয়েছে। যাত্রীর চাহিদা মতো সেবা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিকে দুর্ভোগের শিকার হয়ে কর্মস্থলে ফিরছেন হাজার হাজার মানুষ। এ নিয়ে ব্যাপক অভিযোগ থাকলেও প্রতিকার পাননি কর্মস্থলমুখো মানুষ। লঞ্চ টার্মিনালে প্রবেশ টিকেট ৩ টাকার স্থলে নেয়া হচ্ছে ৫ থেকে ১০ টাকা। অর্থাৎ ১০ টাকা দিলে টিকেট দিয়ে আর ভাঙতি দেয়া হচেছ না। যাত্রীর চাপ বেশি থাকার সুযোগে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হয় লঞ্চগুলোতে। যাত্রীরা লঞ্চের ভেতর ও ছাদে যেখানেই জায়গা পেয়েছেন সেখানেই উঠে বসেছেন। তবে যাত্রীদের অভিযোগ, নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে লঞ্চগুলো অতিরিক্ত যাত্রী তুলেছে। আগের তুলনায় বেশি ভাড়া আদায় করছে। পথে পথে এসব ভোগান্তির পরও কর্মস্থলে ফিরছেন তারা। ইকরাম চৌধুরী/এমজেড/পিআর
Advertisement