নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় কর্মরত এক সহকারী উপ-পরিদর্শকের (এএসআই) কাছ থেকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। নিজের হেফাজতে থাকা ৫ হাজার ও বাসায় তল্লাশি করে ৪৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
Advertisement
বুধবার রাতে পৃথকভাবে অভিযান চালিয়ে পুলিশের এএসআই সোহরাওয়ার্দী রুবেলের কাছ থেকে এসব ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এদিকে অভিযোগ রয়েছে সম্প্রতি এএসআই সোহরাওয়ার্দী রুবেল একজন নারীকে আটকে রেখে প্রায় ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করেছিলেন। তার স্বজনরাও মাদক ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে। তিনি বিভিন্ন লোককে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করতেন বলে তথ্য বেরিয়ে আসছে।
জানা গেছে, পুলিশের এএসআই সোহরাওয়ার্দী রুবেল নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় মাদক ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলেও এলাকার লোকজন জানার পরও কেউ ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। তিনি বন্দরের রূপালী আবাসিক এলাকার সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী কামরুল ইসলামের বাড়ির দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাটে থাকেন। বন্দর থানা থেকে বদলী হয়ে কিছুদিন আগে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় যোগদান করেন তিনি।
Advertisement
রুবেল মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এমন অভিযোগে ডিবি পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে তার বন্দরের ফ্ল্যাট থেকে ৪৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। পরে থানার ভেতর তার দেহ তল্লাশি করে ৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এএসআই রুবেলের বন্দরের ফ্ল্যাটের কেয়ারটেকার জিয়াউল জানান, প্রায় সময় এএসআই রুবেল বিভিন্ন ধরনের লোকজনকে হাতকড়া পরিহিত অবস্থায় আটক করে এনে ফ্ল্যাটে রাখতেন। ওনাকে জিজ্ঞেস করলে কিছুই বলতেন না।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, সদর থানায় তার ব্যাগ থেকে ৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এমনকি তার বাসা থেকেও ৪৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সিনিয়ার অফিসারদের সঙ্গেও আলোচনা চলছে।
শাহাদাৎ হোসেন/এফএ/পিআর
Advertisement