ফিনল্যান্ডে এমন একটি দ্বীপ আছে যেখানে পুরুষদের প্রবেশ নিষেধ। সমুদ্র উপকূলেই দ্বীপটি খুঁজে পেয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানা রোথ নামের এক মার্কিন তরুণী। বাল্টিক সাগরের সবুজ নীল জলের উপর জেগে থাকা এক টুকরো এই ভূখণ্ডটির নাম দিয়েছেন তিনি ‘সুপারসি’। খবর সিএনএন।
Advertisement
দ্বীপটি দেখেই তিনি মনে মনে পরিকল্পনা করে ফেলেছিলেন এই দ্বীপটি শুধু নারীদের জন্যই তৈরি করবেন। এখানে কোনও পুরুষ প্রবেশ করতে পারবেন না। সবুজে ঘেরা ছোট্ট দ্বীপটিতে তিনি তৈরি করলেন একটি রিসোর্ট। যেখানে থাকার অধিকার পাবেন শুধু মেয়েরাই।
এই দ্বীপে একেবারে স্বাধীন-মুক্ত মনে ঘুরে বেড়াতে পারবেন নারীরা। এই রিসোর্টের নামে সামাজিক মাধ্যমে একটি কমিউনিটিও তৈরি করে ফেলেছেন ক্রিশ্চিয়ানা। তার নামও রেখেছেন ‘সুপারসি কমিউনিটি’। তিনি কেনই বা এমন পরিকল্পনার কথা ভাবলেন? তার উত্তরে ক্রিশ্চিয়ানা বলেন, সবসময় পুরুষসঙ্গীকে নিয়েই বেড়াতে যেতে হবে এমন কোনও বাধ্যবাধকতায় তিনি বিশ্বাসী নন।
নিরাপত্তার কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েরা পুরুষদের সঙ্গে বেড়াতে যেতে বাধ্য হন। এই পরিস্থিতিতে মেয়েদের কথা ভেবেই এই ‘সুপারসি’ দ্বীপের চিন্তা। এখানে মেয়েরা নিজেদের ইচ্ছে মত যা খুশি করতে পারেন। নানা পরিস্থিতির চাপে অনেক সময়ই নিজের মনের ইচ্ছা তারা চেপে রাখেন। ‘সুপারসি’ মেয়েদের সেই ইচ্ছা পূরণের সুযোগ করে দেবে। এখানে তারা যতখুশি আনন্দ, হুল্লোর করতে পারবেন। কেউ বাধা দেওয়ার থাকবে না। কেউ নজরদারিও চালাবে না।
Advertisement
সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ক্রিশ্চিয়ানা বলেন, আমাদের চারপাশে সব সময়ই পুরুষরা ঘোরা-ঘুরি করে। কিন্তু এখানে শুধুমাত্র নারীরাই থাকবেন। ওই দ্বীপে ক্রিশ্চিয়ানা যে রিসোর্টটি তৈরি করেছেন সেখানে মোট চারটি কেবিন রয়েছে। সেখানে প্রত্যেকটি কেবিনে ১০ জন নারী থাকতে পারবেন।
দ্বীপে নারীদের প্রবেশের জন্য কোনো বয়সসীমা থাকবে না। সেখানে নারীদের জন্য রিসোর্টে বেশ কিছু স্থাপনা তৈরি করতে চান তিনি। এসবের মধ্যে রয়েছে ক্যাফে ও বিলাসবহুল হোটেল। ক্রিশ্চিয়ানা বলেন, এই জায়গাটা আমার খুব পছন্দের। ফিনল্যান্ডের এক ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার। তাই ফিনল্যান্ডের প্রতি আলাদা রকমের ভালোবাসা কাজ করে তার। ক্রিশ্চিয়ানা জানান, তার প্রেমিকই তাকে এই জায়গাটি চিনিয়েছেন। আগামী জুন থেকেই দ্বীপটি নারীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানা।
টিটিএন/জেআইএম
Advertisement