নিয়মিত একাদশের অনেককে বাদ দিয়ে এদিন দল সাজান ম্যানসিটি কোচ। সানে এবং গুন্দোগান একাদশে থাকলেও দলে ছিলেন না ডি ব্রুয়েন, আগুয়েরো, সিলভা। এমনকি গোলকিপার এডারসনকেও বেঞ্চে বসিয়ে রাখেন পেপ গার্দিওলা। বেঞ্চের খেলোয়াড়দের ঝালাই করে নেয়ার এমন সুযোগ অবশ্য হাতছাড়া করতে চাননি গার্দিওলা।
Advertisement
তাই তো এমন একাদশ। তবে এর খেসারতও ভালোভাবে দিতে হলো ম্যানসিটিকে। ঘরের মাঠে ম্যানসিটিকে ২-১ গোলের লজ্জার হার উপহার দিল সুইস ক্লাব বাসেল। অবশ্য প্রথম লেগ ৫-০ গোলে জেতায় এই হারে তেমন কোনো অসুবিধা হয়নি সিটিজেনদের। তবু হার তো হারই।
ম্যাচের শুরু থেকে পেপ গার্দিওলার চিরাচরিত ফর্মুলা ‘বল নিজেদের দখলে রেখে’ খেলতে থাকে ম্যানসিটি। যার ফল হাতে নাতে পেয়েও যায় ম্যানসিটি। ৮ মিনিটেই দলকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন আগুয়েরোর হলে এদিন একাদশে নামা গাব্রিয়েল হেসুস। ডান পাশ থেকে বার্নারদো সিলভার ক্রসে বা পায়ের আলতো ছোঁয়ায় গোল করে ইনজুরি থেকে ফিরে প্রথমবার একাদশে নামার দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখলেন এই ব্রাজিলিয়ান। নভেম্বরে ইনজুরিতে পড়ার পর এটিই হেসুসের প্রথম গোল।
ম্যাচের ১৭ মিনিটে গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি গুন্দোগান। যার খেসারত দিতে হয় পরের মিনিটেই। কাউন্টার এটা থেকে ১৮ মিনিটেই গোল করে দলকে এগিয়ে দেন মোহাম্মদ ইলুয়ানিসি। গোল খেয়ে মরিয়া হয়ে ওঠে সিটির অ্যাটাকিং লাইনআপ। ৩০ মিনিটে সানের শট রুখে দেন বাসেল গোলকিপার ফ্রেই। প্রথমার্ধে ১-১ গোলে থেকে বিরতিতে যায় দু’দল।
Advertisement
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণের ধার বাড়ায় ম্যানসিটি। কিন্তু কাজের কাজ গোল তারা আদায় করতে পারেনি। উল্টো ম্যাচের ৭১ মিনিটে গোল করে বাসেলকে অপ্রত্যাশিত লিড এনে দেন মিশাইল লাং। গোল খেয়ে সমতায় ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করে ম্যানসিটি। কিন্তু তেমন কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি গার্দিওলার দল।
টাচলাইনে দাঁড়িয়ে গার্দিওলার চেহারাই বলে দিচ্ছিল কী পরিমাণ বিরক্ত হয়েছে তিনি সিটির খেলা দেখে। ১-২ গোলের এক তিক্ত হার নিয়ে ম্যাচ শেষ করতে হয় সিটিজেনদের। অন্যদিকে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিলেও সিটিকে তাদের ঘরের মাঠে এই মৌসুমের প্রথম হার উপহার দিতে পেরে খুশি হতেই পারে বাসেল।
আরআর/বিএ
Advertisement