প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর উন্নয়ন, অংশগ্রহণ ও অধিকার নিশ্চিতের মাধ্যমে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
Advertisement
আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান। এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সময় এখন নারীর : উন্নয়নে তারা, বদলে যাচ্ছে গ্রামশহরে কর্মজীবন ধারা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের পবিত্র সংবিধানে রাষ্ট্রীয় ও সমাজ জীবনের সব কর্মকাণ্ডে নারীর সমান অধিকার নিশ্চিত করেছেন।
দিবসটি উপলক্ষে সব নারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিগত নয় বছরে নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীর উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আমরা জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি- ২০১১ প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ আইন ১৯২৯’ সময়োপযোগী করে ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭’ পাস করা হয়েছে। পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন ২০১০, পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন ২০১৩, ডিএনএ আইন ২০১৪ এবং নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৩-২০২৫ প্রণয়ন করেছি।’
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাসে উন্নীত এবং মাতৃত্বকালীন ভাতা ও ল্যাকটেটিং মাদার ভাতা চালু করেছি। এছাড়া বয়স্ক ভাতা, বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত ও নির্যাতিত নারীদের ভাতা, অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধীদের ভাতা চালু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে জেলা-উপজেলায় ৬০টি ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেল ও ন্যাশনাল হেল্পলাইন (১০৯) চালু করা হয়েছে। ভিজিএফ, ভিজিডি ও জিআর কার্যক্রম সম্প্রসারণের মাধ্যমেও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী ও বলিষ্ঠ পদক্ষেপের ফলে রাজনীতি, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, শিক্ষা, চিকিৎসা, সশস্ত্র বাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সর্বক্ষেত্রে নারীরা যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখছেন।
বাণীতে তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নারী জাগরণের অগ্রদূতদের, যাদের আত্মত্যাগ ও নিষ্ঠায় আজ নারীর সমান মর্যাদা বর্তমান অবস্থানে পৌঁছেছে তাদের এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্ভ্রম হারানো দুই লাখ মা-বোনকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
Advertisement
জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশের নারী উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জাতিসংঘের এমডিজি অ্যাওয়ার্ড, সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড, প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন, এজেন্ট অভ চেঞ্জ, শিক্ষায় লিঙ্গ সমতা আনার স্বীকৃতিস্বরূপ ইউনেস্কোর ‘শান্তিবৃক্ষ’সহ অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছি।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক নারী দিবসের সার্বিক সাফল্য কামনা এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবস পালন করা হচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ করেন।
এফএইএস/এমএআর/বিএ