প্রবাস

মালয়েশিয়ায় পাসপোর্ট জালিয়াতি : আটক ১৮ বাংলাদেশি

মালয়েশিয়ায় পাসপোর্ট জালিয়াতি চক্রের মূল হোতাসহ বাংলাদেশি মাস্টার মাইন্ড চট্টগ্রামের মোজাম্মেল হককে আটক করা হয়েছে। এছাড়া তার সঙ্গে থাকা ১৮ বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের মোট ২৬ জনকে আটক করেছে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন বিভাগ।

Advertisement

ইমিগ্রেশনের দাবি, এ চক্রটি মালয়েশিয়ার সবচেয়ে বড় পাসপোর্ট জালিয়াতি সিন্ডিকেট। ৫ মার্চ মালয়েশিয়ার ক্লাং নামক স্থান থেকে তাদের আটক করে ইমিগ্রেশন বিভাগ। ইমিগ্রেশন বিভাগের মহা-পরিচালক দাতুকে সেরি মোস্তাফার আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সোমবার রাতে ক্লাং উপত্যকায় ১৮ জন বাংলাদেশিকে পাসপোর্ট জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নারীও রয়েছে।

এছাড়া তাদের সঙ্গে ২ জন পাকিস্তানি, ৪ জন ইন্দোনেশিয়ান মহিলা, একজন ফিলিপাইন নারী এবং একজন স্থানীয় নাগরিককেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

মোস্তাফার আলী বলেন, গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে দুটি গাড়ি, সহশ্রাধিক জাল পাসপোর্ট, ইমিগ্রেশন রাবার স্ট্যাম্প, বিদেশি ভিসা স্টিকার, চারটি কম্পিউটার, একটি প্রিন্টার এবং চারটি প্রেনড্রাইভ উদ্ধার করা হয়েছে।

Advertisement

ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট সংবাদ সম্মেলনে জানান, দীর্ঘদিন ধরে চক্রটি বাংলাদেশের জাল পাসপোর্ট তৈরির পাশাপাশি মালয়েশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের পাসপোর্ট ও ভিসা জাল করে আসছে।

কুয়ালালামপুরের পেটেলিংয়ে ভাড়া বাসাতে পরিবার নিয়ে বসবাস করতো ৫০ বছর বয়সী মাস্টার মাইন্ডের এ মোজাম্মেল হক। তিনি যে বাসায় থাকতেন তার পাশের বাসাতে থাকতো পরিবার। সেখানেও পাসপোর্ট তৈরির সরঞ্জাম পাওয়া যায়। পরে তার পরিবারের সদস্যদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছে ইমিগ্রেশন বিভাগ।

মোস্তাফার আলী বলেন, এ সিন্ডিকেট বাংলাদেশিসহ অন্যান্য দেশের নাগরিকদের মালয়েশিয়ায় নিয়ে জাল ভিসা তৈরি করে কানাডা, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড, কোরিয়া, জাপানসহ আরও কয়েকটি দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করে দিত।’

দুই মাস পর্যবেক্ষণের পর ৫ মার্চ জালিয়াত চক্রের মাস্টার মাইন্ড মোজাম্মেল হকসহ তার সহযোগী বাংলাদেশিসহ ২৬ জনকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।

Advertisement

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে মোজাম্মেল হক নকল পাসপোর্ট করার মেশিনসহ ধরা পড়েছিল মালয়েশিয়া পুলিশের হাতে।

এমআরএম/জেআইএম