কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, জেনেটিক্যালি মোডিফাইড (জিএম) বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ জৈব প্রযুক্তি প্রকৌশলের মাধ্যমে রূপান্তরিত ধান গোল্ডেন রাইস ‘ভিটামিন-এ’ এর ঘাটতি পূরণে সহায়ক।
Advertisement
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর মোট জনসংখ্যার সঙ্গে প্রায় ৩০ লাখ নতুন জনসংখ্যা যোগ হচ্ছে। অন্যদিকে দিন দিন আবাদি জমি কমছে। তাই খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য উচ্চফলনশীল জাতের ফসল আজ একটি বাস্তবতা এবং সময়ের দাবি।
মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি।
ব্র্যাকের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. মো. কবীর ইকরামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফজলে ওয়াহেদ খোন্দকার ও আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ইরি) মহাপরিচালক ড. ম্যাথিউ মোরেল।
Advertisement
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২০১৩ সালে দেশে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে জৈবপ্রযুক্তির ফসল বিটি বেগুনের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে এখন কৃষি-জৈব প্রযুক্তি প্রয়োগ করে পরীক্ষামূলকভাবে আরও তিনটি ফসল চাষ করা হচ্ছে। এগুলো হল- ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ গোল্ডেন রাইস, আলুর নাবীধসা রোগ প্রতিরোধী জাত এবং বিটি তুলা।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, পরিবেশগত নিরাপত্তা যাচাইয়ের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড- অনুযায়ী গোল্ডেন রাইসের নিয়ন্ত্রিত মাঠ মূল্যায়নের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া পরীক্ষাস্থলের পরিবেশ ও নিরাপদ খাদ্যমান নিশ্চিতকরণের পরীক্ষাও করা হবে।
এফএইচএস/এমএমজেড/পিআর
Advertisement