শিগগিরই ইলিশের স্যুপ-নুডলস বাজারে আসবে। এই স্যুপ-নুডলস সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকবে। যে কোম্পানিকে স্যুপ-নুডলস তৈরি ও বাজারজাতকরণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, তারা ইচ্ছা করলেই নিজেদের মত করে দাম নির্ধারণ করতে পারবে না। সব কিছুই সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণি সম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।
Advertisement
মঙ্গলবার মৎস্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দর হাতে এ প্রযুক্তি হস্তান্তর করা হয়। ইলিশের স্যুপ-নুডলস এর উদ্ভাবক ড. এ কে এম নওশাদ আলম আনুষ্ঠানিকভাবে মন্ত্রীর হাতে এ প্রযুক্তি হস্তান্তর করেন।
ইলিশের স্যুপ-নুডলস কত দিন নাগাদ বাজারে আসতে পারে- এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, শিগগিরই বাজারজাতকরণ করা হবে। এটা সাধারণ মানুষের জন্য সহজ হবে। সাধার মানুষ যাতে ক্রয় করতে পারে তা মাথায় রেখেই এটা বাজারজাতকরণ করা হবে।
Advertisement
তিনি বলেন, বর্তমান শিশুরা কাঁটাযুক্ত ইলিশ খেতে চায় না। তারা যাতে এ মাছ খুব সহজে খেতে পারে এ জন্যই এ ব্যবস্থা। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানকে দিলেও সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এর মাধ্যমে সরকারের ভ্যাট এবং ট্যাক্স আসবে।
ভার্গো ফিস অ্যান্ড এগ্রো প্রসেস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, এটা যখন বাজারজাত হবে তখন শুধু আমি এককভাবে না, যে কোন প্রতিযোগী এ ব্যবসা করতে পারবেন। এ ব্যবসায় সরাসরি কোম্পানি ও জেলেদের মধ্যে সম্পর্ক থাকবে। কোন মধ্যস্বত্বভোগী থাকবে না। আশা করি বাঙালি গর্ব করে ইলিশের স্যুপ খাবে।
ইলিশের স্যুপ-নুডলস এর উদ্ভাবক ড. এ কে এম নওশাদ আলম এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, গত জানুয়ারিতে সর্বশেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে ইলিশের স্যুপ-নুডলস বাজারজাতকরণ করা যাবে। দুটি পণ্যেই ইলিশের স্বাদ বহাল থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রইছ উল আলম, অধিদফতরে মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ, ইলিশের স্যুপ ও নুডলস এর উদ্ভাবক ড এ কে এম নওশাদ আলমসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
Advertisement
এফএইচএস/জেএইচ/আরআইপি